নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের সাতটি কোচ গত রোববার (১৬ এপ্রিল) দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় সোমবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করা হয়। বাতিল হওয়া ট্রেনটি বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৮টা ২০ মিনিটে যাত্রী নিয়ে ঢাকা স্টেশন ছাড়লো।
দুই দিন পর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের দুই নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় ট্রেনটির ঈদযাত্রা শুরু হলো। যাত্রীদের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখেই এ ট্রেন চালু করা হয়।
এর আগে রোববার সন্ধ্যায় ইফতারের পরপরই কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুর স্টেশনে মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দিয়ে উল্টে যায় সোনার বাংলা ট্রেনের ইঞ্জিনসহ কয়েকটি বগি। এ দুর্ঘটনায় সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক (লোকোমাস্টার) মো. জসিম উদ্দিন, সহকারী লোকোমাস্টার মো. মহসীন ও গার্ড আবদুল কাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ১৭ এপ্রিল সকাল ৭টায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। বিক্রিও হয়েছিল ৫৮৪ টিকিট। তবে শিডিউল বাতিল করায় এর মধ্যে ২৬৭টি টিকিটে রি-ফান্ড করা হয়। ৩১৭ জন যাত্রীসহ বাকি টিকিট আছে এমন যাত্রীদের নিয়ে ট্রেনটি দুই নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে সকাল ৮টার পর অবশেষে স্টেশন ত্যাগ করলো।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের এবারের ট্রেনযোগে ঈদযাত্রা শুরু হয় সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৬টায় ধূমকেতু এক্সপ্রেস ছাড়ার মধ্য দিয়ে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনটি রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এবারের ঈদযাত্রা চলবে আগামী শুক্রবার (২১ এপ্রিল) পর্যন্ত। বুধবার (১৯ এপ্রিল) ট্রেনযোগে ঈদযাত্রার তৃতীয় দিন। ঈদযাত্রার তৃতীয় দিনে আন্তঃনগর ও লোকাল মিলে মোট ৫২ জোড়া ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে চলাচল করবে।
এদিকে ট্রেনযাত্রা ও টিকিট পাওয়া নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। তারা বলছেন, অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট টাকায় এবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে বসে থাকতে হয়নি। এর আগে ২৪ ঘণ্টার অপেক্ষার পরও টিকিট না পাওয়ার যেসব অভিযোগ ছিল সেটাও গ্রহণ করা হয়। ঘরে বসেই অনলাইন মাধ্যমে টিকিট মিলেছে।
কমলাপুর স্টেশনে টিকিট ছাড়া কেউ প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন না। টিকিট না থাকলে তাকে স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে প্রবেশের অনুমতি নিতে হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে রয়েছে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এমআই