নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারা দেশে বেশ কয়েকদিন ধরে টানা দাবদাহ চলছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে বৃষ্টিশূন্যতা। এতে গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। তাই পরিবেশ শীতল ও রোদের উত্তাপ থেকে স্বস্তি পেতে ঈদের জামাতে বিশেষ দোয়া করা হয়। শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৭টায় বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাতে এ দোয়া করা হয়।
রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের নামাজ শেষে এ দিন মোনাজাতে দেশ ও জাতির পাশাপাশি পুরো বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। সেই সঙ্গে জঙ্গিবাদ নিরসনসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (২২ এপ্রিল) জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতের ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমীন। সকালে সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া ঈদের প্রধান এই জামাতে নামাজ আদায় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
পরে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশ ও জাতি ছাড়াও পুরো মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করা হয়। একই সময় ‘আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো ঈদগাহ।
এর আগে নামাজ শেষে খুতবা পাঠ করা হয়। এরপর দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে দু’হাত তুলে সৃষ্টিকর্তার দরবারে ফরিয়াদ জানান হাজার হাজার মানুষ।
ঈদকে ঘিরে শনিবার ভোর থেকেই নামাজের আগে দুর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা জাতীয় ইদগাহে আসতে শুরু করেন। মূল পেন্ডেলে ভেতরে জায়গা না পেয়ে অনেকেই সড়কে নামাজ পড়েন।
এদিকে ভোর থেকে দেখা যায়, ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই ঈদগাহের দিকে মুসল্লিদের পদযাত্রা শুরু হয়। ধর্মপ্রাণ মানুষের এই জনস্রোতে পুরুষদের পাশাপাশি অংশ নেন নারীরাও। নারীদের জন্য করা হয় আলাদা প্রবেশ গেট। অনপকেই পরিবারের ছোট্ট শিশুটিকে সঙ্গে করে সবার লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় জাতীয় ঈদগাহের ঈদ জামাত।
এর আগে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিদের দীর্ঘ সারি ছাড়িয়ে যায় প্রেসক্লাব থেকে হাইকোর্ট মাজারের গেট পর্যন্ত।
রাষ্ট্রপতি ছাড়াও নামাজে শরীক হন প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, মেয়র, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
ঈদ মোনাজাতের পর শুরু হয় পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের চির চেনা সেই দৃশ্য। কোলাকুলি করে সবাই জানান তাদের অনুভূতির কথা। আনন্দ চিত্তে একে অপরকে জানান ঈদ মোবারক।
ভ্রাতৃত্বের এই মেল বন্ধন বছরজুড়ে অব্যাহত থাকবে, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
এমআই