সাইফুল ইসলাম রুদ্র, জেলা প্রতিনিধি:
নরসিংদীর রায়পুরায় ককটেল ফুটাতে বাধা দেওয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে জুলহাস মিয়া (২৮) নামে এক পোল্ট্রি মুরগীর ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চারজন।
শনিবার রাতে রায়পুরার চরাঞ্চল নিলক্ষা ইউনিয়নের বীরগাঁও এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত জুলহাস ওই এলাকার শামসুল মিয়ার ছেলে ও পেশায় একজন পোল্ট্রি ব্যবসায়ী। আহতরা হলেন সাদ্দাম, ইয়ামিন, হাবিব ও আমিনুল। তাদের প্রথমে নরসিংদীর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর এলাকার জালাল মিয়া প্রায়ই ককটেল তৈরি ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে থাকেন। সম্প্রতি একাধিকবার ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করেন তিনি।
ঈদের দিন বিকালে জালালের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত জুলহাস মিয়ার খামারের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আনন্দ উৎসব করতে থাকে। এতে খামারের মুরগি অসুস্থ হয়ে পড়ছে এবং জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে জানিয়ে ককটেল না ফুটাতে বারণ করেন জুলহাস মিয়া। এতে জুলহাসের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা চলে গিয়ে পুনরায় সন্ধ্যার পর অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জুলহাসের বাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এতে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জুলহাসকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) সত্যজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি জেনে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।
এমআই