আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ডে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস’র বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে মিরর।
খবরে বলা হয়, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হানে। বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৬টা ৪১ মিনিট নাগাদ নিউজিল্যান্ডের কেমারদিক দ্বীপে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়।
নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে সুনামির আশঙ্কা আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে সকল বাসিন্দাদের উপকূলবর্তী এলাকা এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছে। যদিও ভূমিকম্পের এক ঘণ্টা পরেও কোনো সুনামি না হওয়ায় উপকূলকে নিরাপদ বলেই ধরে নেয়া হচ্ছে।
ভূমিকম্প রেকর্ড করার পরপরই কর্তৃপক্ষ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপকূলীয় অঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল। নিউজিল্যান্ডের জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, মানুষের উচিত উপকূলের কাছাকাছি এলাকা থেকে নিজে নিজেই সরে আসা। ভূমিকম্প প্রায় এক মিনিটেরও বেশি সময় ধরে অনুভূত হয়েছিল। এটি এত শক্তিশালী ছিল যে দাঁড়ানো কঠিন ছিল।
সাম্প্রতিক কালে নিউজিল্যান্ডে আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। সেটিও এই কেরমাডেক দ্বীপপুঞ্জের কাছেই রেকর্ড করা হয়েছিল। ২০২২ সালের মার্চ মাসে একটি ৬.৬-মাত্রার ভূমিকম্প ২৪ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে।
নিউজিল্যান্ডে ২০০০ সালের পর থেকে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয় ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে। ওই বছর ৮.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল দেশটি।
সময় জার্নাল/এলআর