গোলাম আজম খান, কক্সবাজার:
কক্সবাজারের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকুলে ভাসমান ট্রলার থেকে ১০ জেলের মৃতদেহের মধ্যে আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত ৪ জেলের পরিচয় শনাক্ত করেছে তার নিকটাত্মীয়রা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো আনোয়ার হোসেন। বাকী মৃতদেহের মধ্যে একজনের নিকটাত্মীয় শনাক্তের কথা বললেও পুলিশ বলছে তারা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। মৃত জেলেদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর-ই মৃতদেহ গুলো আত্নীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হবে জানিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে মৃতদেহের একাধিক দাবিদার থাকলে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে বলেন তিনি।
তবে ১০ জেলের মৃতদেহ একেবারেই বিকৃত হয়ে গেছে। তাই শনাক্ত করা কঠিন। তবে নিহত জেলেদের মধ্যে ৬ জন মহেশখালীর এবং ৪ জন চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
নিহত ১০ জনের নিকটাত্মীয় গতকাল রবিবার বিকেল থেকে হাসপাতাল মর্গে শনাক্তের জন্য ছুটে এসেছে। তারা জানিয়েছে গত ৭ এপ্রিল নিহত জেলেরা ফিশিং ট্রলারে করে সাগরে মাছ ধরতে যায়। ফিশিং ট্রলারের মালিক শামসুল আলমও ট্রলারে ছিল।
আজ সোমবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে উপস্থিত নিহত জেলেদের আত্মীয়স্বজনদের সাথে কথা বলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো আনোয়ার হোসেন সিআইডি পুলিশের ডিআইজি মো হাবিবুর রহমান সহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা। এসময় ডিআইজি মো আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে জানান ১০ জেলে নিহতের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে। এটা আসলেই একটি বড়ো ঘটনা। এটার পেছনে কারা জড়িত তা তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সিআইডি পিবিআই পুলিশ কাজ করছে।
দুপুরের পর হাসপাতাল মর্গে নিহত জেলেদের ময়নাতদন্ত শুরু করেন। পুলিশ জানায় ময়নাতদন্তের পর ‘ডিএনএ’ পরীক্ষা থেকে শুরু করে বেশকিছু আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। এরপরই স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হবে। এরআগে নয়।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান ভাসমান ট্রলার থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। এটি একটি বড় হত্যাকান্ডের ঘটনা। এ নিয়ে সিআইডি-পিবিআই সহ আইনশৃংখলা বাহিনী কাজ করছে। তাদের কাজ শেষ হলে পুরো ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হবে।
এর আগে রবিবার সকালে রশি দিয়ে ট্রলারটি টেনে কক্সবাজারের নাজিরারটেক মোহনায় নিয়ে আসেন স্থানীয় জেলেরা। খবর পেয়ে দুপুর ২টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এমআই