আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে লিবিয়ার উপকূল থেকে ৫৭ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। এদের বেশিরভাগই পাকিস্তান, সিরিয়া, তিউনিশিয়া ও মিশরের নাগরিক। খবর বার্তা সংস্থা এপির। আরও মরদেহ ভেসে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নৌকা থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া মিশরীয় এক অভিবাসনপ্রত্যাশী জানান, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত দুইটায় তারা ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। প্রতিটি নৌকায় অন্তত ৮০ জন করে যাত্রী ছিল।
কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা ফাতি আল-জায়ানি জানান, পূর্ব ত্রিপোলির কারাবুল্লি থেকে এক শিশুসহ ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, অভিবাসন প্রত্যাশীরা পাকিস্তান, সিরিয়া, তিউনিসিয়া ও মিশর থেকে এসেছিলেন।
পশ্চিম ত্রিপোলির সাবরাথায় অবস্থানরত রেড ক্রিসেন্টের এক ত্রাণকর্মী জানান, তারা গত ছয় দিনে সমুদ্রতট থেকে ৪৬টি মরদেহ উদ্ধার করেছেন। মৃতদের সবাই একই নৌকার যাত্রী ও অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশী। আগামী দিনগুলোতে আরও মরদেহ ভেসে আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন এই ত্রাণকর্মী।
২০১১ সালে ন্যাটোর সমর্থনপুষ্ট এক গণঅভ্যূত্থানে মুয়াম্মার গাদ্দাফি উৎখাত হন। এর প্রায় এক দশক পর, প্রধানত আফ্রিকার অভিবাসনপ্রত্যাশিীদের জন্য সমুদ্র পেরিয়ে ইউরোপ যাত্রার অন্যতম প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয় লিবিয়া। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশ যাত্রার কেন্দ্র হিসেবে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে লিবিয়াকে পেছনে ফেলেছে তিউনিসিয়া। তিউনিসিয়া থেকে ইতালীয় উপকূল অভিমুখে অভিবাসী ঢল বেড়ে গেছে সম্প্রতি।
গত দুই দিনে ইতালি ভূমধ্যসাগরের মধ্যাঞ্চল থেকে, ৪৭টি নৌকায় থাকা ১ হাজার ৬০০ যাত্রীকে উদ্ধার করেছে। পরে তাদের লামপেদুসা দ্বীপের উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়।
চলতি বছরে তিউনিসিয়া উপকূলে এখন পর্যন্ত ৪৪১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা সবাই আফ্রিকার নাগরিক বলেও জানানো হয়।
এমআই