নিজস্ব প্রতিনিধি:
যানজটহীন সড়কে যানবাহন চলছে বেশ দ্রুতগতিতে। ঈদের পঞ্চম দিনেও রাজধানী ঢাকার সড়কে যানবাহনের তেমন চাপ নেই। বেশিরভাগ সড়কই ফাঁকা। ।
ফলে ফাঁকা ঢাকায় তুলনামূলক কম সময়ে যাত্রীরা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন। তবে বিজয় সরণী মোড়ের চিত্রটা ছিল ভিন্ন। স্বাভাবিক দিনের মতোই সেখানে সকাল থেকে গাড়ির চাপ দেখা গেছে।
গত শনিবার (২২ এপ্রিল) ছিল পবিত্র ঈদুল ফিতর। সোমবার (২৪ এপ্রিল) থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, মার্কেট, বিপণিবিতান খোলা হয়। কিন্তু ঈদ শেষে এখনো গ্রাম থেকে সবার ঢাকায় ফেরা হয়নি। অনেকেই বাড়তি ছুটি নিয়ে ঈদের চতুর্থ-পঞ্চম দিনে ঢাকায় ফিরছেন। ফলে এখনো নগরের রাস্তাঘাটও অনেকটাই ফাঁকা।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০টা। মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে মোটরসাইকেলে স্বাভাবিক গতিতে ২০ মিনিটে তেঁজগাও কলেজের সামনে পৌঁছান এ প্রতিবেদক। মহাখালী থেকে নাবিস্কো হয়ে যাওয়ার পথে বিজয় সরণী উড়াল সড়কের পূর্ব অংশে তিন মিনিট সিগন্যালে দাঁড়াতে হয়েছে।
উড়াল সড়ক পাড় হয়ে বিজয় সরণী মোড় সিগনালে দাঁড়াতে হয়েছে চার মিনিট। এর বাইরে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, মগবাজার, তেজগাঁও সাত রাস্তা, হাতিরঝিল, গুলশান, বাড্ডা লিং রোডসহ ঢাকার আর কোথাও তেমন যানবাহনের চাপ দেখা যায়নি।
বিজয় সরণী মোড়ে উবার চালক (ব্যক্তিগত গাড়ি) মহিউদ্দিন বলেন, এবার ঈদের দুদিন আগ থেকেই ঢাকা ফাঁকা হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কোথায় যানজট তৈরি হয়নি। যাত্রী নিয়ে অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছি। এতে গাড়ির জ্বালানি সাশ্রয় হচ্ছে। বছরজুড়ে যদি ঢাকা এমন ফাঁকা থাকতো, কতই না ভালো হতো।
গুলশান-১ এ ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন পুলিশ সদস্য ইমতিয়াজ। আলাপকালে তিনি বলেন, ঈদ উদযাপন করতে যারা গ্রামে গেছেন, তাদের অধিকাংশই এখনো ঢাকায় ফেরেননি। আগামী শুক্র ও শনিবার ঢাকামুখী মানুষের চাপ হয়তো বাড়বে। আগামী রোববার থেকে ঢাকায় যানবাহনের চাপ বাড়তে পারে।
সময় জার্নাল/এলআর