এস এম জহিরুল ইসলাম,গাজীপুর:
গাজীপুরের শ্রীপুরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আলম মিয়া (২৮) নামক যুবক নিহত হয়েছে। সে শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী গ্রামের আতিকুল ইসলামের ছেলে।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২ টায় শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতুর নিচ থেকে আহত অবস্থায় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অচেনা দুই ব্যক্তি আলমকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ধারালো ছুরিকাঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ফজল মো: নাসিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
টেপিরবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন জানান, নিহতের শিকার আলম মিয়া স্যানিটারি মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতো। তার নিজের একটা টমটম (নছিমন) রয়েছে। স্যানিটারি কাজ না পেলে সে নিজের নছিমন চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো।
মাওনা চৌরাস্তা এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রাত ১২ টার পর উড়াল সেতুর নিচে ও আশপাশে ছিচকে ছিনতাইকারীরা অবস্থান করে। তারা সুযোগমতো পথচারী, যাত্রীদের মূল্যবান জিনিস ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। বাধা দিলে তারা ছুরিকাঘাতে হত্যা করে মূল্যবান মালামাল লুটে নেয়। এটি ছিনতাই কারীর চক্রের কাজ হতে পারে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রাতের ওই সময়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক জারিন রাফা জানান, আল-আমিন নামে এক যুবক ছুরিকাহত অবস্থায় আলম মিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। নিহতের বুকে ধারালো ছুরির আঘাতে তার মৃত্যু হয়।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল ফজল মো: নাসিম জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতুর উত্তরে মহাসড়কের পশ্চিম পাশে যুবক আলম মিয়াকে ছুরিকাহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে দুই যুবক শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। তবে সে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে কি’না তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। হাসপাতালে নিয়ে আসা যুবকদের একজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সুরতহাল রিপোর্টে নিহতের বুকের ডান পাশে এবং ডান হাতে ধারালো ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর