বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

কিশোরগঞ্জে টিফিনের সময় স্কুল ছুটি, শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতায় উপস্থিতি শূন্য!

সোমবার, মে ১, ২০২৩
কিশোরগঞ্জে টিফিনের সময় স্কুল ছুটি, শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতায় উপস্থিতি শূন্য!

খাদেমুল মোরসালিন শাকীর. নীলফামারী প্রতিনিধিঃ 

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় টিফিনের সময় এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি দিয়ে শিক্ষার্থীদের দ্বারা অফিস রুম বন্ধ ও জাতীয় পতাকা নামানোর কাজ করার দেখা মিলেছে। রবিবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ দুরাকুটি ঘোপাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এসব কাজের দেখা মেলে। 

দুপুর ২ টা ১৮ মিনিটে স্কুলে গিয়ে দেখা যায় স্কুলের অফিস কক্ষে ও দুই ক্লাস রুমের দরজায় তালা লাগানো। শিক্ষার্থীরা জানায়
স্যারেরা সবাই চলে গেছে। আমরা ক্লাশ রুম বন্ধ করে চলে যাবো। তৃতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী জানায় প্রতিদিন ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র মারুফ ক্লাশ রুম বন্ধ করে। আজ ও না আসায় স্যার আমাকে রুম বন্ধ করতে বলেছে। ওই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞেস করা হয় অফিস রুমের চাবী কার কাছে? সে উত্তরে বলে আমার কাছে আছে। ওর দ্বারা অফিস রুম খুলে দেখা যায় প্রত্যেক শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতায় উপস্থিতি তোলা হয়নি। ক্লাস হয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করা হলে শিক্ষার্থীরা জানায় দুই একটা ক্লাস হয়েছে। তাহলে নাম প্রেজেন্ট করা হয়নি কেন? তারা কোন কিছু না বলে চুপ থাকে। 

দুপুর ২টা ৩৮ মিনিটে স্কুলে আসেন সহকারী শিক্ষক মোতালেব হোসেন, শিক্ষার্থীদের ধমক দিয়ে বলেন ক্লাস রুম বন্ধ করছে
কেন? স্কুল ছুটি দিয়ে চলে গেছেন কেন? ওই সহকারী শিক্ষক বলেন ১টা ৫০মিনিটে স্কুল টিফিন দিয়ে বাড়ী যাই, গোসল করি,নামাজ পড়ি তারপর একটু খেয়ে চলে আসি। এই টুকু সময় দিবেন না ভাই। কিছুক্ষণ পর সহকারী শিক্ষক আব্দুল মান্নান এসে বলেন, একটু দুপুরের খাবারের জন্য ও নামাজের জন্য বাড়িতে যাই। সহকারী শিক্ষক হাসনাত বেগম একই কথা বলেন। 

তবে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ও সহকারী শিক্ষিকা জেনিস ফারহানার দেখা মেলেনি স্কুলে। প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের মুঠো ফোনে কল দেয়া হলে তিনি সাংবাদিকের পরিচয় জানতে পেয়ে কল কেটে দেন।

সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টারের উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মাহতাবুর রহমান বুলেটের মুঠো ফোনে কল দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ বলেন,শিক্ষার্থীরা রুম বন্ধ করবে এবং পতাকা নামাবে এটা কোন সমস্যা না। তারা স্কুল কেন ছুটি দিয়ে চলে গেছে সে বিষয়ে আমরা তাদেরকে শোকজ করবো।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, ভিডিও ডকুমেন্ট দিলে আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। 

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল