সময় জার্নাল ডেস্ক:
আজ পাসওয়ার্ড দিবস। প্রতি বছর মে মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার দিবসটি পালন করা হয়। ডে'জ অব দ্য ইয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ইন্টেল এই দিবসটির প্রচলন করে।
ইন্টেলের উদ্দেশ্য ছিল, হ্যাক ও অন্যান্য সাইবার অপরাধ রোধ করা এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারে সবাইকে সচেতন করা।
বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে সবারই শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা দরকার। প্রযুক্তিবিদরা মনে করেন, সবার উচিত কয়েক সপ্তাহ পরপর তাদের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা। তাহলে বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। আর না হলে অনলাইন প্লাটফর্ম ও ব্যক্তিগত তথ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।
মনে রাখতে হবে, সময়ের প্রয়োজনে একটি জটিল ও সুরক্ষিত পাসওয়ার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বর্তমান সময়ের জন্য। কারণ এখন আমাদের বেশিরভাগ কাজ অনলাইনে করতে হয়। তাই এমন পাসওয়ার্ড থাকা ভালো যা অনুমান করাও সহজ নয়।
কিন্তু, আমরা যতই ভাবি না কেন কেউ আমাদের পাসওয়ার্ড অনুমান করতে পারবে না, বাস্তবতা হলো ভিন্ন। কারণ পেশাদার হ্যাকাররা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই যেকোনো পাসওয়ার্ড অনুমান করতে পারে!
তবু ঝুঁকির কথা জেনেও অনেকে তাদের পাসওয়ার্ড নিয়মিত পরিবর্তন বা আপডেট করে না। আপনারও যদি এমন অভ্যাস থাকে তাহলে পাসওয়ার্ড দিবসে সেই অভ্যাস থেকে বের হতে পারেন। আজই সামাজিক মাধ্যম, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারেন।
পাসওয়ার্ড দিবস ও পাসওয়ার্ড নিয়ে অনেক কথাই তো হলো। এখন বলি পাসওয়ার্ড দিবসের ধারণা কিভাবে এলো। ডে'জ অব দ্য ইয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৫ সালে নিরাপত্তা গবেষক মার্ক বার্নেট পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রত্যেকেরই পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার জন্য নির্দিষ্ট দিন থাকা উচিত। তিনি তার 'পারফেক্ট পাসওয়ার্ডস' বইয়ে এই ধারণাটির একটি রূপরেখাও দিয়েছেন।
মার্ক বার্নেটের ওই রূপরেখা বিশ্বব্যাপী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইন্টেল। এরপরই মে মাসের প্রথম বৃহস্পতিবারকে বিশ্ব পাসওয়ার্ড দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছিল।
এমআই