নিজস্ব প্রতিবেদক:
৭২০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া গরুর মাংস ঈদুল ফিতরের আগে ৮০০ টাকায় পৌঁছায়। কিন্তু ঈদ চলে যাওয়ার দুই সপ্তাহ পরও সেই দরেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। কোরবানি ঈদের আগে তা কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
শুক্রবার (৫ মে) সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
বিক্রেতাদের ভাষ্য, গরুর দাম বেশি। তাই মাংসের দামও বেড়েছে। আপাতত দাম কমার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানান মাংস ব্যবসায়ীরা।
অভিযোগ উঠেছে, সামনে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে গরুর মাংসের দাম বাড়াতে চান মাংস ব্যবসায়ীরা। মাংসের দাম নির্ধারণ হয় ঈদের আগে আগে। হঠাৎ দাম বাড়াতে গেলে রোষানলে পড়তে হতে পারে, তাই আগে থেকেই গরুর মাংসের দাম বাড়িয়ে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে, মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে বাজারে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি চাষের কই বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, শিং মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, পাঙাস মাছ প্রতি কেজি ২২০ টাকা, রুই মাছ প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, চিংড়ি আকার ভেদে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, পাবদা মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, বড় টেংরা প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, শোল মাছ আকার ভেদে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, কাতল মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভিন্ন চিত্র ব্রয়লারের বাজারে। বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে। দুই দিন আগেও তা ছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। অর্থাৎ ব্রয়লারের দাম কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমেছে।
পাইকারি বাজারে দাম কমার কারণে ব্রয়লারের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যান বাজারের মুরগি ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া মাংসের বাজারে পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকায়। লাল মুরগি ৩৫০ টাকা। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৪৪০ টাকা।
ব্রয়লার মুরগির দাম কিছু কমলেও বেড়েছে এর ডিমের দাম। পাইকারি বাজারে ব্রয়লারের ডিমের শ বিক্রি হচ্ছে ১১৫০ টাকায়। অর্থাৎ দোকানি এক হালি ডিম কিনছেন ৪৬ টাকায়। বিক্রি করছেন চার টাকা লাভে। এক্ষেত্রে ক্রেতাকে প্রতি হালি ডিমের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা। ডজন ১৫০ টাকা।
এক সপ্তাহ আগেও ব্রয়লারের ডিমের ডজন ছিল ১৩৫ টাকা। হালি ছিল ৪৫ টাকা।
এমআই