সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধিঃ
নরসিংদীতে প্রতি বছরের মত এবারও চলছে মওসুমি ফল আম, জাম, কাঠাল, লিচু, আনারসসহ নানাজাতের ফসল বেচা-কেনা। তবে বেশী ক্রয় বিক্রয় হয় জাতীয় ফল কাঁঠাল। সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিন বিক্রেতারা কাধে, সাইকেলে, ঠেলা, রিকশা ও ট্রাক রিজার্ভ করে কাঁঠাল, আনারসসহ অন্যান্য মওসুমি ফল বাজারে এনে বিক্রি করছে।
এই জেলার ফল খেতে সুস্বাদু হওয়ায় তার সুনাম ও সুখ্যাতি দেশের সর্বত্রই। তাই ক্রেতা ও বিক্রেতার সমাগমে এখন সরগরম হয়ে ওঠেছে বাজার। লেগেছে জ্যৈষ্ঠ হাড়ির ধুম। ফসলের ফলন কম হলেও দাম বেশী থাকায় তা পুষিয়ে যাচ্ছে। বাজারে মাঝারি সাইজের একটি কাঁচা কাঠালের দাম ৭০-১০০ পর্যন্ত। এখানকার কাঁঠালের কোষগুলো পুষ্ট থাকে তাই বেশী দামেও ক্রেতারা নিতে চায়।
চাষীরা জানান, সরকার থেকে কোন সহযোগিতা কিংবা মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের সময়মত পরামর্শ না পাওয়ায় ফসল ফলন প্রতি বছরই তুলনামূলক কম হয়। জেলার শিবপুর উপজেলার যোশর বাজারে ২০-২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কাঠালসহ মৌসুমি ফল কেনা বেচা হয়। এতে কম করে হলেও হাজার খানেক মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। জেলায় জমে উঠেছে
মৌসুমি ফল কাঁঠালের বাজার। অন্যদিকে ভোর থেকে কাঁঠালের বাগান থেকে বাইসাইকেলে করে অভিনব পন্থায় কাঁঠাল নিয়ে বাজারে আসেন বিক্রেতারা। তা দেখতে বাজারগুলোতে ভিড় জমে উৎসুক জনতার।
জেলার কাঁঠালের বাজার ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কাঁঠাল বাজারে উঠতে শুর করলেও এতদিন বাজার তেমন জমেনি। তবে এবারে কাঁঠালের দাম বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বাগান মালিকরা। তাদের মতে, জেলার অর্ধ শতাধিক কাঁঠালের বাগানে পর্যাপ্ত ফল এসেছে। তবে এ বছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পর্যাপ্ত তেমন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কাঁঠালের মুচি গাছেই পচে ঝরে গেছে। গাছের কাঁঠাল ছাড়া উৎপাদনের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় কাঁঠালের দাম বেশ চড়া। তারপরও জেলার বাজারে ক্রেতাদের প্রচুর ভিড়।
এমআই