এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
২০০১ সালে নির্যাতনের স্বীকার হয়ে এক কাপড়ে রাতের আধারে দেশ ছেড়েছিলাম। ওরা ঘেরপাতাড়ি ঘরের মালামাল সবকিছু লুটপাট করে নেয়। এমনকি পালিত শুকরটিও নিতে ভুল করেননি। পার্শবতী মোংলা উপজেলার চটেরহাট নোঙ্গরখানায় আশ্রয় ছিলাম দুদিন। তৎকালিন বিবিসি খবরে স্বাক্ষাৎকারে নির্যাতনের কথা বলেছি।
স্ত্রী একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিক ছিলেন। ৮ম শ্রেনী পড়–য়া ছেলে সন্তানকে নিয়ে ভারতে চলে যেতে হয়েছে। ২০ বছর পরে মাটির টানে আবার ফিরে এসেছি জন্মস্থানে। প্রভাবশালীদের লোলুপ দৃষ্টি, ভিটেমাটি জমিজমা টুকু আবারও দখলে নিতে চায়। আদালতের নিশেধাজ্ঞাও মানছে না ওরা, এ নির্যাতনের শেষ কোথায়? এ কথাগুলো বললেন, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের বৃদ্ধ নির্মল কুমার মজুমদার (৭০)।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, মৃত. রাম চরন মজুমদারের ছেলে নির্মল কুমার মজুমদার নিজ নামীয় ক্রয় সূত্রে ৩ বিঘা ৮ কাঠা জমির মালিক হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছে। পরে এ জমির মধ্যে থেকে দুই ভাগে দুটি মৎস্য ঘের করে। চুক্তিভিত্তিক কালাম শেখ ও মতি শেখের কাছে বছর চুক্তিতে নগদ টাকায় লাগিয়ে দেয় নির্মল। হঠাৎ করে নির্মল মজুমদারের ওই জমিতে জোরপূর্বক পার্শ্ববতী ভাইজোড়া গ্রামের প্রভাবশালী মোতালেব শেখ ও তার লোকজন মাটি কেটে ভেড়ি দেয়। নির্মল মজুমদারের লোক কালাম শেখকে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে। এতেও ক্ষ্যান্ত না হয়ে স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় প্রভাবশালী মোতালেব শেখ ওই জমি দখলে মরিয়া হয়ে জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য নির্মল মজুমদারের দেওয়া মৎস্য ঘের মালিক কালাম শেখকে জমি ছেড়ে দেওয়ার একের পর এক চাপ প্রয়োগ করে জমি থেকে উঠে যেতে বলে হুমকি ধামকি দেয়। এ নিয়ে কালামের পরিবার রয়েছে আতংকে।
এ ঘটনায় নির্মল মজুমদার বাদি হয়ে মোতালবে শেখসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবর পৃথক একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
এ সর্ম্পকে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান বলেন, নির্মল মজুমদারের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মোতালেব শেখ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এমআই