সময় জার্নাল ডেস্ক:
ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা আশাউড়া গ্রাম। সবার কাছে আনারসের গ্রাম হিসেবেই বেশি পরিচিত। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের গ্রাম এ আশাউড়া। কারণ গ্রামের ভেতরে ঢুকলেই চোখে পড়বে ছোট-বড় টিলায় লাগানো আনারসের সারি।
গ্রামের সড়কের পাশে কিংবা বাসা বাড়ির আঙিনায় কিছু না পেলেও আনারসের দেখা মিলবেই। বাংলাদেশের ভেতরে থাকা অন্তত ১০০ টিলায় এ বছর আনারস চাষ হয়েছে।
তবে চাহিদা বেশি থাকায় অধিক উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশের টিলা ছাড়াও আনারস চাষে ব্যবহার করা হচ্ছে ভারতের সীমানায় থাকা টিলাগুলো। ভারতের কাছ থেকে জায়গা লিজ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে আনারস চাষ করছেন বাংলাদেশের চাষিরা।
অধিক মিষ্টি ও রসালো হওয়ায় আশাউরার আনারসের খ্যাতি রয়েছে সুনামগঞ্জ জুড়ে। প্রতিবছর জেলার মানুষ অপেক্ষায় থাকেন কবে আশাউরার আনারস বাজারে আসবে। তাই এই আনারস বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আনারস চাষিরা। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পরিপক্ক আনারস সংগ্রহ করছেন তারা।
এরপর সেই আনারস বাগান থেকে সরাসরি চলে আসে সুনামগঞ্জের বাজারে। সারা জেলার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও যাচ্ছে আশাউড়ার আনারস।
স্থানীয় বাসিন্দা আজমত আলী বলেন, আমাদের এলাকার আবহাওয়া ও মাটি আনারসের জন্য উপযোগী। তাই আমাদের এলাকা আনারসের জন্য বিখ্যাত। সবাই আনারসের গ্রাম হিসেবে এক নামে আমাদের গ্রামকে চেনে।
উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর সদর উপজেলার প্রায় ৫০০ কেয়ার জায়গায় আনারসের আবাদ হয়েছে। যেখান থেকে কৃষক ৬ কোটি টাকার আনারস বিক্রি করা সম্ভব হবে। বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে এসে যার মূল্য হবে অন্তত ১০ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো রাকিবুল আলম বলেন, সুনামগঞ্জের আশাউরা গ্রামে সবচেয়ে বেশি আনারস চাষ হয়। বাংলাদেশের জায়গার পাশাপাশি ভারতের জায়গা লিজ নিয়েও আনারস উৎপাদন করা হচ্ছে।
এ বছর বাম্পার ফলন হওয়ায় ও বাজারে ভালো দাম থাকায় কৃষক খুশি। এই আনারস রসালো ও সুস্বাদু হওয়ায় এর খ্যাতিও বেশি। পুরো জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলাতেও যাচ্ছে এই আনারস।
সময় জার্নাল/এলআর