নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে গণনা চলছে। বিকেল চারটায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর শুরু হয়েছে গণনা। এখন পর্যন্ত দুই সিটিতে বেসকারিভাবে যেসব কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলোতে নৌকার প্রার্থিরা এগিয়ে আছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বরিশাল সিটিতে ১২৬ কেন্দ্রের মধ্যে ৭২টি কেন্দ্রের ফল জানা গেছে। এসব কেন্দ্রে ৪৮ হাজার ৭৭৪ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম ১৭ হাজার ৪৭১ ভোট পেয়েছেন।
অন্যদিকে, খুলনা সিটির ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬ কেন্দ্রের ঘোষিত ফলে এগিয়ে আছেন নৌকার প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। এই নয় কেন্দ্রে ৬ হাজার ৭৫৪ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন তিনি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা প্রতীকের আব্দুল আউয়াল পেয়েছেন ১ হাজার ৬৮১ ভোট।
এর আগে সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট নেওয়া হয় এই দুই সিটিতে।
বরিশাল সিটিতে মেয়র প্রার্থী রয়েছেন সাত জন। এছাড়াও ১১৮ জন সাধারণ ও ৪২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ভোটে লড়ছেন। সবমিলিয়ে এই সিটিতে মোট ভোটার দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এরমধ্যে এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন পুরুষ ও এক লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন নারী ভোটার রয়েছে।
নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ছোট্ট এই সিটির ১২৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৬টি কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কমিশনার সাইফুল ইসলাম।
নির্বাচনে মোট ভোট কক্ষ ৮৯৪টি। প্রতিটি ভোট কক্ষে একটি করে এবং প্রতিটি কেন্দ্রের প্রবেশ পথে দুইটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সবমিলিয়ে মোট এক হাজার ১৪৬টি ক্যামেরা আছে।
অন্যদিকে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৮ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৪ জন।
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ হাজার ৩০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সবমিলিয়ে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
নির্বাচনকে ঘিরে খুলনায় বিজিবির ১১ প্লাটুন সদস্য ছাড়াও নির্বাচনি মাঠে আছেন ৪৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
এমআই