সর্বশেষ সংবাদ
নিজস্ব প্রতিনিধি:
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা-১৭ আসনে উপ-নির্বাচনের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, নির্বাচনগুলোতে এখন বিশ্বের চোখ রয়েছে। আমরাও নির্বাচনগুলোকে সিরিয়াসলি নিতে চাই। ইলেকশন ইজ নট অ্যা ম্যাটার অব জোক।
সর্বোচ্চ ৫ জন কর্মী-সমর্থক নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা মানেননি ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত (মোহাম্মদ এ আরাফাত)।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুর ১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খানের কাছে নিয়ম ভেঙে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। সর্বোচ্চ পাঁচজন থাকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও আরাফাতের সঙ্গে এসময় ছিলেন ১০ জনের বেশি কর্মী।
এসময় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও ইটিআই ভবনের নিচে শতাধিক কর্মী উপস্থিত ছিলেন। মনোনয়ন জমা দিয়ে ফেরার পথে সমর্থকরা স্লোগান দেন।
জানতে চাইলে আরাফাত বলেন, আমি ৫ জনের বেশি নেই নাই তো। আমিসহ চারজন ছিল আশপাশে। একবারে স্পেসেফিক্যালি, আমি ডিক্লারেশন দিয়ে এনেছি দেখেন- কচি ভাই, বজলু ভাই, ওয়াকিল উদ্দিন সাহেব ও মেরি আপা। আমি এই চারজনকে নিয়ে এসেছি। তার বাইরে কারা ছিলেন, কারা এসেছেন, সেটি আমার দায়িত্ব না।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আরাফাত।
এসময় রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ পাঁচজন মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসতে পারেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় মনে হয় পাঁচজনই এসেছিলেন। এক-দুজন বেশি থাকলে...। আমি তো সাংবাদিকই গুনতে পারি না কতজন। সাংবাদিক কম থাকলে উনাকে বলা যায়, ভাই আপনার লোক বেশি হয়ে গেছে, তাদের বের করে দেন। এখন সাংবাদিক কে, উনার কে, আমি তো বুঝতে পারছি না।
এটি প্রতিপক্ষহীন নির্বাচন কি না, এমন প্রশ্ন করা হয় আরাফাতকে। জবাবে তিনি বলেন, প্রতিপক্ষহীন আসলে না। আমাদের প্রতিপক্ষ কৌশলগত কারণে সরাসরি নেই। তারা কিন্তু আছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা ছিল। তারা দৃশ্যত আমাদের সঙ্গে থাকুক বা না থাকুক, আমরা তাদের পরাজিত করবো।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, সব যায়গায় তারা আছে। আমাদের প্রতিপক্ষ বিভিন্নভাবে কারও না কারও ঘাড়ে ভর করে, কোনো না কোনোভাবে থাকে। সব জায়গায় অবস্থান থাকে।
তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ পরাজিত করা, ছোট করা, হিউমিলিয়েট করার চেষ্টা করছে। সেটি আমরা হতে দেবো না। আমরা জয়ী হবো।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ নির্বাচনে আসুক, এটি আমরা চাই। যারা গণতন্ত্র ও নির্বাচনবিরোধী একটা অবস্থান নিয়েছে, তারা নির্বাচনে থাকছে না। বিএনপির প্রচুর নেতাকর্মী লোকাল গভর্নমেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তাদের বহিষ্কার করা হচ্ছে। পরে তাদের নেতাকর্মীদেরই নির্বাচন থেকে নির্বৃত করতে পারছে না। যদিও তারা নির্বাচনবিমুখ অবস্থান নিয়েছে। দিন শেষে এটি হবে না। নির্বাচন জয়ী হবে, গণতন্ত্র জয়ী হবে। নির্বাচনমুখী যারা, তারাই থাকবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনগুলোতে এখন বিশ্বের চোখ রয়েছে। আমরাও নির্বাচনগুলোকে সিরিয়াসলি নিতে চাই। নির্বাচন ইজ নট আ ম্যাটার অব জোক। ইটস আ সিরিয়াস ম্যাটার। সেভাবেই এটাকে নিতে চাই।
সময় জার্নাল/এলআর
এ বিভাগের আরো
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল