আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২০ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৯ জন শিশুও রয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
সোমবার (১০ মে) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংবাদমাধ্যমটিকে জানায়, ইসরায়েলের বিমান হামলায় শিশুসহ ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ৬৫ জন।
এর আগে পূর্ব জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ ও এর আশপাশের এলাকায় টানা তিন দিন ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় নারী ও শিশুসহ কয়েকশত ফিলিস্তিনি আহত হয়। এর প্রতিবাদে সোমবার জেরুজালেমে ইসরায়েলের লক্ষবস্তুতে কয়েক ডজন রকেট নিক্ষেপ করে গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন দল হামাস। এরপরই গাজায় বিমান হামলা করে ইসরায়েল।
এদিকে, একই দিন আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আল জাজিরা জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট অগ্নিশিখা এত বড় ও উজ্জ্বল ছিল যে, পূর্ব জেরুজালেমের শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখা গেছে সেই আগুনের শিখা।
বিস্ফোরণের ফলে ইসরায়েল পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ সে সময় মসজিদ চত্বর ও তার আশাপাশের এলাকার অন্তত ৩৩১ জন আহত হয়েছেন।
গত বেশকিছুদিন ধরেই গাজা এলাকায় ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ চলছিল জেরুজালেমে। রোববার (৯ মে) লাইলাতুল কদরের রাতে আল আকসায় নামাজ আদায় শেষে উপস্থিত ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা বিক্ষোভ শুরু করলে তা দমন করতে তৎপর হয় ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী।
ওই দিনের সংঘাতে অন্তত ৯০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছিলেন। সংঘর্ষের পর থেকে আল আকসা মসজিদ ও এর সংলগ্ন এলাকা ঘিরে রেখেছিল ইসরায়েলি পুলিশ।
এর জেরে ফিলিস্তিনের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল হামাস হুমকি দেয় ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন সরকারকে। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১০ মে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে মসজিদ চত্বর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার না করা হলে তার পরিণতির জন্য ইসরায়েল সরকার দায়ী থাকবে।
কিন্তু ইসরায়েলের সরকার এই হুমকিকে আমলে না নেওয়ায় ১০ মে সন্ধ্যার পর গাজা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। হামাস এই হামলা শুরু করার কিছুক্ষণ পরই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
সূত্র: আলজাজিরা