সময় জার্নাল ডেস্ক:
বাংলায় আমরা ডাকি বাবা বা আব্বা। ইংরেজিতে ফাদার বা ড্যাড। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সন্তানরা বাবাকে বিভিন্ন শব্দে ডাকেন। এভাবে দেশ ভেদে বাবা ডাক বদলে যায়। কিন্তু, কখনো বদলায় না বাবা ও সন্তানের সম্পর্ক কিংবা রক্তের টান।
একবার চোখ বন্দ করে যদি বাবার মুখটি কল্পনা করা হয়। তাহলে শরীরের শিরা, উপশিরা, ধমনীতে এক ধরনের শিহরণ বয়ে যায়। আর সেই অবস্থায় যদি অস্ফুটভাবে বাবা বা আব্বা ডাকটি মুখ ফুটে বের হয়ে যায়, তাহলে পৃথিবীর যেকোনো সন্তানের চোখ দিয়ে এক ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়বে। এই হলো বাবা। আর বাবা মানেই এক আকাশ ভালোবাসার নাম, আবেগের নাম।
আমরা যখন বিপদে পড়ি, সবার আগে হয়তো বাবার কথা মনে পড়ে। তখন এটা ভেবে শান্তি পাই যে, 'বাবাতো আছেন।' এই যে ভরসার জায়গা, এটাই হলো বাবা ও সন্তানের রক্তের টান। আর তখন বাবারা সন্তানের পাশে দাঁড়ান। মাথায় হাত রেখে বলেন, 'ভয়ের কিছু নেই। সব ঠিক হয়ে যাবে।' বাবাদের এটুকু বলাতেই সন্তানরা যেন বিশ্ব জয়ের শক্তি পেয়ে যায়। এটাই হলো বাবাদের শক্তি। তাই বাবারা হলেন সন্তানের সত্যিকারের সুপারম্যান।
বাবারা যত দিন বেঁচে থাকেন, সন্তানের ওপর কোনো ঝড়ের আঁচ লাগতে দেন না। সব বিপদ নিজে বুকে পেতে নেন। কিন্তু, কখনো বুঝতে দেন না। শত বিপদে থেকেও তারা সন্তানের স্বপ্ন পূরণে নিজের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেন। এমনকি প্রার্থনার বিছানায় বসে স্রষ্টার কাছে নিজের জন্য কিছু না চেয়ে সন্তানের মঙ্গল চান। বাবারা এমনই। তারা হলেন সন্তানের মাথার ওপর বিশাল বটবৃক্ষের ছায়া।
বাবারা এক পাঞ্জাবি বা জামাতে বছর কাটিয়ে দেন। কিন্তু, সন্তানের জন্য নতুন জামা, নতুন পাঞ্জাবি কিনে আনেন। নিজে ছেড়া জুতা পরে থাকেন, অথচ সন্তানকে ঠিকই কিনে দেন বাজারের সেরা ব্রান্ডের জুতা। বাবার ত্যাগের কাছে পৃথিবীর কোনো ত্যাগের তুলনা হতে পারে না।
আজ বাবা দিবস। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জুন মাসের তৃতীয় রোববারকে বাবা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আজ সেই দিন, তাই পৃথিবীর সকল বাবাকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। তবে, বাবাকে ভালোবাসতে কোনো দিন লাগে না। সন্তানরা বাবাকে প্রতিদিনই ভালোবাসেন। বাবা ও সন্তানের এই ভালোবাসা চিরন্তন।
এমআই