সময় জার্নাল ডেস্ক:
বিশ্বজুড়ে পালিত হতে যাচ্ছে ঈদ-উল-আজহা বা বখরি ইদ। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি দ্বিতীয় বড় উৎসব। ওই দিন পশু কোরবানির মাধ্যমে আত্মত্যাগ করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।
ঈদুল আজহার প্রধান আকর্ষণ পশু কোরবানি। এই পশু কোবরবানির ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন দেশে রয়েছে ভিন্ন প্রথা। নিজের টাকায় কেনা পশুটি আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে জবাই করার মাধ্যমে একজন প্রকৃত মুসলমান মূলত নিজেকে আল্লাহর কাছে সমপর্ণের শিক্ষা নেয়।
কোরবানির এই ইদের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু বিশেষ রীতি-নীতি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বখরি ইদকে ঘিরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রথা। কোথাও নিজের পালিত পশুকে কোরবানি দিতে হয়। কোথাও আবার কোরবানির জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কসাইখানা।
পাকিস্তান
প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে চারদিন ধরে পালিত হয় বখরি ইদ। সেখানে উৎসবের দিন সকালে পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বিশেষ নমাজে অংশ নেন। পরে বাড়ি ফিরে এসে গোরু, ছাগল, ভেড়া বা উট কোরবানি দেন তাঁরা।
তবে কোরবানির ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে পাকিস্তানে। সেখানে কেবলমাত্র নিজের পালিত পশুকেই কোরবানি দেওয়া যায়। সেই কারণে ইদের বেশ কিছুটা আগে থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে যায় পশু কেনা-বেচা।
সংযুক্ত আরব আমিরাত
মধ্য প্রাচ্যের এই আরব দেশে নিজের বাড়িতেই কোরবানি দিতে পারেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। এছাড়া কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট কসাইখানা রয়েছে সেখানে। তবে কোরবানির পর দ্রুত বর্জ্য সরিয়ে ফেলার নিয়ম রয়েছে এই দেশে।
ইরান
বিশ্বের একমাত্র শিয়া দেশ ইরানে বাড়িতে কোরবানি দেওয়া বেআইনি। কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট কসাইখানা রয়েছে সেখানে। ইরানে খুব ভোরে পালিত হয় কোরবানি প্রথা। সকালে বখরি ইদের নমাজ শুরুর আগেই মাংস সংগ্রহের কাজ শেষ হয় পারস্য উপসাগরের তীরের এই দেশে।
তাজাকিস্তান
মধ্য এশিয়ার দেশ তাজিকিস্তানে কিছুটা বেলার দিকে শুরু হয় কোরবানি। এখানকার সকলে বখরি ইদের দিনে নমাজের মাধ্যমে দিন শুরু করেন। নমাজ শেষে আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে চলে শুভেচ্ছা বিনিময়। দুপুরের সময় কোরবানিতে অংশ নেন ধর্মপ্রাণ তাজিকরা।
সরকার নির্ধারিত জায়গা ছাড়া এই দেশে অন্যত্র কোরবানি দেওয়া যায় না। শুধু তাই নয়, তাজিকিস্তানে কোরবানির মাংস শুধু মাত্র মহিলারাই রান্না করতে পারেন। আর সেই মাংস পরিবেশন করে বাড়ির ছোটরা।
তুর্কি
পূর্ব ইউরোপের ইসলাম ধর্মাবলম্বী দেশ তুর্কিতে ইদ-উল-আজহাকে বলা হয় কুরবান বায়রামি। ইরান ও তাজিকিস্তানের মতো এখানে কোরবানির জন্য সরকারি নির্ধারিত জায়গা রয়েছে। এগুলি শহর সংলগ্ন এলাকাতে তৈরি। তবে এই দেশের অনেকেই পশু বলি এড়িয়ে যান। বখরি ইদের দিন অর্থ দান করেন তাঁরা।
তবে কেউ যদি আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে কোরবানি না করে, শুধু গোশত খাওয়ার নিয়তে কোরবানি করে; তাহলে তার কোরবানি শুদ্ধ হবে না।
সময় জার্নাল/এলআর