নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে ঢাকায় প্রবেশে যাত্রাবাড়ীর কয়েক কিলোমিটার এলাকা দীর্ঘ যানজটে পড়েছে। এ মহাসড়কের পাশে বসে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। পশুর হাট বসানো ও কাজলা থেকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা পর্যন্ত রাস্তা ভাঙা থাকায় এ যানজট হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাড়ি ফিরতে শুরু করছে ঘরমুখো মানুষ। এর ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ছোট-বড় পরিবহনের কয়েকগুণ চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে বাড়ি ফেরাতে ঘিরে মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব দুই লেনের ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে। যানবাহন চলাচলে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঈদ যাত্রায় যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যানজট এড়াতে সেতু পূর্ব ও পশ্চিমে মোট ১৮টি বুথ টোল আদায় করা হচ্ছে।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রাবাড়ীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাজলা থেকে যানজট রায়েরবাগ ছাড়িয়ে বহুদূর চলে গেছে। গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যার দিকে এ যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করে বলে জানিয়েছেন এ রুটে চলাচল করা যাত্রীরা।
কাজলা এলাকায় এ মহাসড়কের একটি অংশ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে উঠে গেছে। অপেক্ষাকৃত সরু অংশটি চলে গেছে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায়। ফ্লাইওভারে ওঠার অংশটি ভালো থাকলেও চৌরাস্তায় যাওয়ার অংশটি খুবই খারাপ।
অন্যদিকে এ মহাসড়কের দু-পাশেই বসেছে গরুর হাট। উত্তর পাশে যে সার্ভিস লেন ছিল সেটি গরুর হাটের কারণে এখন বন্ধ।
এ এলাকার অনেকে জানিয়েছেন, হাটের ইজারাদার নিয়ম ভেঙে মহাসড়কের দুপাশ ছাড়াও রায়েরবাগ, কাজলা, শনিরআখড়ার অনেক জায়গায় হাট বিস্তৃত করেছে। এতে এসব এলাকায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করছে।
সময় জার্নাল/এলআর