অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
অটোরিকশার দাপটে লক্ষ্মীপুর শহরের যানজট এখন চরম আকার ধারণ করেছে। এতে ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করলেও তা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকেও দায়ী করছেন ভুক্তভোগীরা।
কয়েকজন শিক্ষার্থী ও পথচারীরা জানান, বেশ কিছুদিন লক্ষ্মীপুর পৌর শহর যানজটমুক্ত ছিল। এখন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে এই শহরে।
অন্যদিকে ফুটপাতে হকারদের দৌরাত্ম্যের মধ্যে ছোট-বড় গাড়ির যত্রতত্র পার্কিং ও প্রধান সড়কের দুই পাশে ভ্রাম্যমাণ দোকান, মোড়ে মোড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও অস্থায়ী স্ট্যান্ডের কারণে শহরটিতে যানজট স্থায়ী রূপ নিয়েছে। দিনের অধিকাংশ সময় যানজটের কারণে থমকে থেকে এখন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে লক্ষ্মীপুর শহরবাসী। যানজটের জন্য ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যত্রতত্র চলাচলকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিন দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর শহরের প্রধান সড়কের কিছুদূর পরপর তীব্র্র যানজট। এক লেন সড়কে চলাচল করছে প্রায় ১০ হাজার অটোরিকশা। সাধারণ মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শহরের এক কিলোমিটার পথ যেতে সময় লাগছে এক ঘণ্টার বেশি।
শহরের যানজটের কথা স্বীকার করে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মোজাম্মেল হায়দার মাসুম বলেন, অতিরিক্ত রিকশা, ইজিবাইক, মিশুকের কারণে যানজট বেড়েছে। এদের একটিরও লাইসেন্স নেই। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে যানজট অনেকটা নিরসন হবে। এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করা দরকার।
পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, লক্ষ্মীপুর পৌরশহরে চলতে গিয়ে যানজট তিনি নিজেও দেখেছেন। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ তৎপর হবে।
সময় জার্নাল/এলআর