স্পোর্টস ডেস্ক:
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমিফাইনালে কুয়েতকে আটকে রেখে বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। আজ (শনিবার) ভারতের বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে শুরুতে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশকে পুড়তে হয়েছে আফসোসে। না হলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে পারতো লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
ধারেভারে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে কুয়েত। তারপরও বাংলাদেশ মাঠে তার প্রভাব সেভাবে পড়তে দেয়নি। বাংলাদেশ কেবল কুয়েতের আক্রমণ সামলায়নি, আক্রমণেও গেছে কয়েবার। তবে প্রথমার্ধে কোনো দল গোল না পায়নি।
দ্বিতীয় মিনিটেই ম্যাচের সহজতম সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। এই সাফের আলোচিত তরুণ ফুটবলার মোরসালিন সুযোগটি কাজে লাগাতে পারলে এগিয়ে থেকেই বিরতি যেতে পারতো ক্যাবরেরার শিষ্যরা।
ডান দিক দিয়ে একক প্রচেষ্টায় কুয়েতের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন রাকিব। বল ঠেলে দিয়েছিলেন বক্সে দাঁড়ানো মোরসালিনকে। বল যখন মোরসালিনের পায়ে, তখন তার সামনে শুধুই কুয়েতের গোলরক্ষক মারজুক।
তরুণ এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার বল গোলরক্ষকের গায়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন। ফিরে আসা বলে দুইবার চেষ্টা করেও ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি মোরসালিন। শুরুতে বড় বিপদ থেকে বেঁচে যায় ১৯৮২'র বিশ্বকাপ খেলা কুয়েত।
ষষ্ঠ মিনিটে বাংলাদেশ গোলমুখে তৈরি হওয়া জটলায় বিপদের শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। গোললাইন থেকে এক ডিফেন্ডার বল ক্লিয়ার করলে বেঁচে যায় বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশের নিজেদের কৌশলে খেলে ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছে কুয়েতকে। যদিও বল দখলে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। এমনকি পোস্টে শট নেওয়ার ক্ষেত্রেও তারা এগিয়ে ছিল বাংলাদেশের চেয়ে।
২৯ মিনিটে একটি থ্রো থেকে বক্সের মাথায় বল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শট করেছিলেন আল রাশিদি। আনিসুর রহমান জিকো লাফিয়ে এক হাতে বলটি ঠেকিয়ে বাঁচিয়ে দেন দলকে।
এর পরপরই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। বাঁ দিক থেকে রাকিবের উদ্দেশ্যে মাপা ক্রস ফেলেছিলেন জামাল ভূঁইয়া। রাকিব বলের পজিশনে থাকলে মাথা লাগাতে পারেননি।
বাংলাদেশ একাদশ
আনিসুর রহমান জিকো (গোলরক্ষক), তপু বর্মণ, বিশ্বনাথ ঘোষ, তারিক কাজী, শেখ মোরসালিন, মো. হৃদয়, জামাল ভূঁইয়া, সোহেল রানা, ইশা ফয়সাল, সোহেল রানা-২ ও রাকিব হোসেন।
সময় জার্নাল/এলআর