নিজস্ব প্রতিনিধি:
একটি রাষ্ট্র নানান মাধ্যমের কাজে সক্রিয় হয়। স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে তরুণদের পরিচালনা, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে রাষ্ট্র তার গতিশক্তি পায়। বিশেষ করে বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ গঠনে পাঠাগারের ভূমিকা অনন্য।
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম বিলকিছ আলম পাঠাগার আয়োজিত ঈদ পূর্ণ মিলনী ও সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত বক্তারা কথাগুলো বলেন।
শনিবার বিকাল ৪টায় উপজেলার হাড়িসর্দার বাজার সংলগ্ন পাঠাগার প্রাংগনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও ব্যাংকার আগা আজিজ চৌধুরী, প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী ফরিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পাঠাগারের উপদেষ্টা হাসেম মজুমদার, তরুণ উদ্যাক্তা ইসরাফিল মোল্লা, সাংবাদিক বেলাল হোসাইন।
প্রধান অতিথি বলেন, আমি একজন সমাজকর্মী। যেকোনো জায়গায় থাকি সমাজ নিয়ে ভাবি। এই ক্ষেত্রে পাঠাগার হচ্ছে আমাদের কাজের সব চেয়ে সহায়ক মাধ্যম। পাঠাগার আমাকে নতুন পথ দেখায়। পাঠাগারের বইয়ের মনীষীদের আলোয় নিজের অন্ধকার দূর করি।
কবিতা আবৃত্তি করেন কবি আমজাদ হোসেন, আহসান উল্লাহ ও সাইফুল ইসলাম হৃদয়। অনুভূতি প্রকাশ করেন কাজী মঈন উদ্দীন।
সভাপতি হিসেবে ছিলেন কবি ফরিদ ভূইয়া। তিনি বলেন, সমাজে কে কোন ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে তা জানতে মত বিনিময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের সাহিত্য আড্ডায় আমাদের আলাপ একদিন ইতিহাস হয়ে থাকবে। আমি চাই সব জায়গায় পাঠাগারের গতানুগতিক কাজের বাহিরে নানাবিধ কর্মকাণ্ডে মানুষের কাছাকাছি ছড়িয়ে পড়ুক।
প্রতিষ্ঠাতা ইমরান মাহফুজ বলেন, আমরা আমাদের স্বাধ্যমতো সামাজিক মুক্তির জন্য কাজ করছি। রাজনীতিদের সামাজিক সংস্কারের কাজে আরও বেশি পেলে গতি পাবে। বিলকিছ আলম পাঠাগার বরাবরই স্পষ্টভাবে সমাজের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায়।
সময় জার্নাল/এলআর