রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

মণিপুরে আবারও তীব্র সংঘাত, নিহত ২

সোমবার, জুলাই ৩, ২০২৩
মণিপুরে আবারও তীব্র সংঘাত, নিহত ২

অনলাইন ডেস্ক:

ভারতের মণিপুর রাজ্যে আবারও তীব্র সংঘাতের সূচনা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় সেখানে আরও দু’জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ তথ্য দিয়েছে।

রোববার ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, ‘শনিবার রাতে দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে কমপক্ষে দু’জন ‘গ্রামসেবক’ নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে খোইজুমন্তবি গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সময় এলাকায় পাহারা দিচ্ছিলেন ‘গ্রামসেবকরা’। তখনই কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে তাদের গুলির লড়াই শুরু হয়।’

গত দু’মাস ধরে মণিপুরে জাতিগত সংঘাতে ১০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী রঞ্জন সিংহের বাড়িতে পেট্রল বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। মণিপুর সরকারের একমাত্র নারী মন্ত্রী কাংপোকপি কেন্দ্রের এমপি নেমচা কিগপেনের বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল বিক্ষুব্ধ জনতা। রাজ্যের জনস্বাস্থ্য, কারিগরি এবং ক্রেতাসুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী এল সুসীন্দ্র মেইতেইয়ের বাড়ি সংলগ্ন একটি গুদামঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা।

এমন অশান্তির মধ্যেই সে রাজ্যে গিয়েছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু তারপরও পরিস্থিতির বদল ঘটেনি। বিজেপি শাসিত মণিপুরের অশান্তি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশটির জাতীয় রাজনীতি। এ রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছে বেশ কয়েকটি বিরোধী দল। মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কেন নীরব? সেই প্রশ্নও তুলেছে বিরোধীরা। মণিপুর নিয়ে দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠক করেছিলেন অমিত শাহ। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের সঙ্গেও বৈঠক হয় তার। সাত দিনের বিদেশ সফর সেরে দেশে ফেরার পরই মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত সপ্তাহে মণিপুরে যান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বীরেন সিংহ। তবে পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেন তিনি। শনিবার ‘এনডিটিভি’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সে রাজ্যের হিংসায় যেভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আক্রমণ করা হচ্ছে, তাতে আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন, তার সঙ্গে কেউ নেই। কিন্তু পরে সমর্থকদের ‘ভালবাসা’তেই তিনি সিদ্ধান্ত বদল করেন।

সূত্র : এবিপি

এস.এম


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল