সর্বশেষ সংবাদ
সময় জার্নাল ডেস্ক : ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার বিস্তার শুধু ঢাকায়ই সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ৫৭ জেলায় রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে সবার হিসাব সরকারের খাতায় থাকে না। শুধু ভর্তির পরই জানা যায় কী পরিমাণ মানুষের ঠিকানা হচ্ছে হাসপাতাল। এ বছরের শুরুর দিকে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কম হলেও মে-জুন থেকে ভয়াবহ হয়ে উঠে ডেঙ্গু। এ সময় ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮২ জন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬৬১ জন, আর মৃত্যু দুজনের। ভুক্তভোগী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এবার ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে বেশি জটিলতা নিয়ে আসছে শিশু। সরেজমিন রাজধানীর একাধিক হাসপাতাল ঘুরে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে। হাসপাতালে ভর্তির প্রায় ৩৬ শতাংশই শিশু। ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ঠেকাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঢাকার সব হাসপাতালসহ ৬৪ জেলার সিভিল সার্জনকে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে। এতে বলা হয়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কোনো রোগী হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছালে তার চিকিৎসা দিতে হবে। কেউ এ ব্যাপারে শৈথিল্য দেখালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।জনস্বাস্থ্যবিদরা বলেছেন, কাগজে-কলমে ডেঙ্গুর যে তথ্য মানুষ জানতে পারে, বাস্তব পরিস্থিতি আরও ভয়ানক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৫৭ জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার কথা জানালেও প্রায় সব জেলায় এর বিস্তার ঘটেছে। তারা বলেন, মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু রোগীর তথ্য ও চিকিৎসা নিয়ে লুকোচুরি করার সময় এখন নয়। এটিকে জাতীয় সমস্যা মনে করে যেভাবে এর বিস্তার ঘটছে, তা যে কোনোভাবে মোকাবিলা করতে হবে। জনস্বাস্থ্যবিদ ড. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, সরকার ৫৭ জেলার কথা বললেও সব জেলায়ই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সরকারের কাছে সব তথ্যও নেই। হাসপাতালের বাইরে কতজন আক্রান্ত হচ্ছেন এবং কতজন মারা যাচ্ছেন, সেই তথ্যও নেই। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সমন্বিতভাবে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি। এস.এম
এ বিভাগের আরো
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল