নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের বিধ্বংসী বোলিংয়ে থিতু হতে পারছে না আফগানিস্তান। আগের ম্যাচে যেখানে উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ২৫৬ রান, সেখানে আজ টিকে থাকাই যেন বড় দায়। শরিফুলের একের পর এক আঘাতে আফগানরা আজ এলোমেলো, অসহায়।
পাওয়ার প্লেতে এসেছে ২১ রান, হারিয়েছে ৪ উইকেট! এর মধ্যে ৭ রান এসেছে অতিরিক্ত খাত থেকেই। তাছাড়া ৬০ বল খেলে মাত্র ৮টি বল থেকে রান বের করতে পেরেছে তারা, এই ছোট পরিসংখ্যানই বলে দেয় কতটা নাজুক অবস্থা। একাই ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন শরিফুল, অন্যটা তাসকিনের।
আগের ম্যাচের উদ্বোধনী জুটির ব্যাপক সফলতায় আজও ভয় ছিল, গুরবাজ-ইবরাহিম জুটিতে এমন কিছু হবে না তো! সেই সুযোগও দেননি শরিফুল। মাত্র তৃতীয় ওভারেই ভাঙেন উদ্বোধনী জুটি।
অফ স্টাম্পের বাইরে ফাঁদেই ফেললেন ইবরাহিম জাদরানকে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়া খোঁচা দেন বলে, যা সরাসরি চলে যায় উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ৩ রানেই ভাঙে আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটি।
প্রথম উল্লাসের রেশ না কাটতেই দ্বিতীয়বার উল্লাসে মাতান শরিফুল। একই ওভারেই ফেরান তিনে নামা রহমত শাহকে। শূন্য রানে ফেরেন এই আফগান ব্যাটার। তিনিও ফেরেন মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে। আর তাতে ৩ রানেই ২ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
এরপর ষষ্ঠ ওভারে তাসকিনের আঘাত। প্রথম চার বল ডট দেয়ার পর পঞ্চম বলে পুল করতে চেয়েছিলেন গুরবাজ। তবে তাসকিনের বাউন্সার ব্যাটে ছোঁয়া লেগে চলে যায় পেছনে, মুশফিকের গ্লাভসে। আগের ম্যাচে ১৪৬ রানের ইনিংস খেলা গুরবার আউট হন ২২ বলে ৬ রান করে।
এরপর টিকে থাকার লড়াইয়ে দাঁতে দাঁত চেপে থাকে আফগানিস্তান। একটু থিতু হতে একের পর এক দিতে থাকে ডট। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি, মোহাম্মদ নাবকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন শরিফুল। ১৫ রানে ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১৪.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১ রান।
সময় জার্নাল/এলআর