স্পোর্টস ডেস্ক:
নিয়মরক্ষার ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। শুরু থেকেই তাদের চেপে ধরেন বাংলাদেশি বোলারররা।
প্রথম দুই ওয়ানডে হেরে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে। অবশেষে স্বরূপে ফিরলেন বাংলাদেশের বোলাররা। চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে ১২৬ রানে অলআউট করেছেন শরিফুল-তাসকিনরা। অর্থাৎ সান্ত্বনার জয় পেতে বাংলাদেশের চাই ১২৭।
দ্বিতীয় ম্যাচে একটি উইকেটের জন্য ৩১ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে স্বাগতিকদের। এবাদত, মোস্তাফিজ কিংবা হাসান মাহমুদরা ব্রেক থ্রুই এনে দিতে পারেননি।
শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়েই নিজেকে প্রমাণ করে দিয়েছেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। এক ওভারেই তিনি তুলে নিয়েছেন আফগান টপ অর্ডারের দুই উইকেট।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই বাংলাদেশ দলকে ব্রেক থ্রু উপহার দেন তিনি। শরিফুলের লেন্থ বলটি মাঝ উইকেটে পিচ করে হালকা আউটসুইং করে অফস্ট্যাম্প ঘেঁষে বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছিল। ব্যাট পেতে দিয়েছিলেন ইব্রাহিম জাদরান (১)। ব্যাটের কানায় লেগে গিয়ে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে জমা পড়ে বলটি।
দলীয় ৩ রানের মাথায় পড়ে আফগানিস্তানের প্রথম উইকেট। তবে, শরিফুল সেখানেই থেমে থাকেননি। একই ওভারে জোড়া আঘাত হেনেছেন তিনি। ওভারের পঞ্চম বলে ওয়ানডাউনে নামা রহমত শাহকে (০) সাজঘরে ফিরিয়ে দেন বাঁহাতি এই পেসার।
এবার তার করা লেন্থ বলটি ছিল লেগ স্টাম্পের ওপর। রহমত শাহ ব্যাটটা নিয়ে গিয়েছিলেন শুধু। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে আবারও বল চলে যায় উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে। ৩ রানেই দুই উইকেট হারায় আফগানরা।
এরপর দলীয় ১৪ রানের মাথায় রহমানুল্লাহ গুরবাজকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ।
তাসকিনের শর্ট বলটি পুল করতে গিয়েছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ব্যাটের উপরের কানায় লেগে বল চলে যাচ্ছিলো মুশফিকের মাথার ওপর দিয়ে। হাত বাড়িয়ে ক্যাচটি লুফে নিলেন তিনি। ১৪ রানের মাথায় পড়ে তৃতীয় উইকেট। ২২ বলে ৬ রান করেন রহমানুল্লাহ।
বাংলাদেশের দুই পেসারের আগ্রাসন এরপরও চলতে থাকে। বিশেষ করে শরিফুলের। ইনিংসের ৯ম ওভারে দারুণ এক গুডলেন্থের বল, এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে দেয় মোহাম্মদ নবিকে। ৯ বল খেলে ১ রান করে আউট হন নবি।
তাসকিনের করা ৪৬তম ওভারে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট ন ওমরজাই। ৭১ বলে করেন ৫৬ রান, যে ইনিংসে একটি চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা হাঁকান এই ব্যাটার।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল শরিফুল ইসলাম। ৯ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে তিনি একাই শিকার করেন ৪টি উইকেট।
দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম। মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের পকেটে গেছে একটি করে উইকেট।
সময় জার্নাল/এলআর