আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
টাইটানের যাত্রা শুরু থেকে দুর্ঘটনার মুহূর্ত পর্যন্ত বিশদ বিবরণ দিয়েছেন আন্ডারওয়াটার এক্সপার্ট জোসে লুইস মার্টিন৷ তার বিশ্লেষণ মতে, নিয়ন্ত্রিত অবতরণের সময়েই বৈদ্যুতিক ত্রুটি ধরা পড়ে৷
এই কারণে ডুবোজাহাজের পানি কেটে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে গিয়েছিল৷ পরিণামস্বরূপ ডুবোযানটি অবস্থানের স্থিতি হারিয়ে ক্রমশ সমুদ্রতলের দিকে অবতরণ করছিল৷
পরিস্থিতি এতই জটিল হয়ে দাঁড়ায় যে ইমার্জেন্সি লিভার তার কর্মক্ষমতা হারায়৷ ডুবোযানটি অবতরণের পর নতুন গভীরতায় পৌঁছতেই ভারসাম্যে সমস্যা দেখা দেয় যখন ডুবোযানের ভিতরে পাঁচ যাত্রীই ভিড় করেন ভিউপোর্টে৷
অতলে ডুবোজাহাজ হু হু করে নিচে নামছিল৷ ভয়ঙ্কর সেই ‘ফ্রি ফল’ চলে ৪৮ সেকেন্ড থেকে ৭১ সেকেন্ড পর্যন্ত৷ তখনই যাত্রীরা টের পান তাদের শেষ মুহূর্ত উপস্থিত৷ ডুবোজাহাজ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় একে অন্যের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে গিয়েছিলেন যাত্রীরা৷ ধারণা বিশেষজ্ঞ মার্টিনের৷ ততক্ষণে আলো নিভে গিয়ে নিকষ অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল ডুবোজাহাজ টাইটান৷
টাইটানের যাত্রী ছিলেন ব্রিটিশ ধনকুবের হ্যামিশ হার্ডিং, পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ, তার ছেলে সুলেমান, ওশনগেট সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ এবং ফরাসি ডুবোজাহাজ বিশেষজ্ঞ পল অঁরি নার্গিওলেট৷ পাঁচ দুঃসাহসী অভিযাত্রী চিরঘুমে ঘুমিয়ে পড়লেন টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে৷
সময় জার্নাল/এলআর