সময় জার্নাল প্রতিবেদক:
বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর থেকে সেতুর টোল আদায়ের রেকর্ড ভঙ্গ হয়েছে গেল ২৪ ঘণ্টায়। বুধবার (১২ মে) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে গাড়ি পারাপার হয়েছে ৫২ হাজার ৭৫৩টি। এতে সেতুতে টোল আদায় হয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকা।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর পর সর্বোচ্চ টোল আদায়ের রেকর্ড সেতুতে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ২৪০ টাকা। যা বিগত টোল আদায়ের ইতিহাসকে ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড করেছে। এবার বিপুল সংখ্যক গণপরিবহন ছাড়াও সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়া ট্রাক, পিকআপভ্যান, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের সংখ্যা ছিল বেশি।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল গণমাধ্যমকে জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর গত ২৪ ঘণ্টার মত এতো পরিবহন টোল আদায় হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় গণপরিবহনের পাশাপাশি অন্যান্য পরিবহন সেতু পারাপার হয়েছে। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজায় সারাক্ষণ চাপ ছিল।
মঙ্গলবার ও বুধবার এই দুইদিন দিন রাত মহাসড়কে ছিল বিভিন্ন যানবাহনের দখলে। এতে মানুষের যেমন চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তেমনি মহাসড়ক সচল রাখতে বেগ পেতে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের। লকডাউন ঘোষণাকে উপেক্ষা করে ঈদে ঘরমূখো মানুষ পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে বাস না পেয়ে খোলা ট্রাক, পিকআপভ্যান, মাইক্রো ও মোটরসাইকেলযোগে তাদের যেতে দেখা গেছে। ফলে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি ছিল। অথচ কারোর মধ্যে করোনা সচেতনা দেখা যায়নি। এতে প্রতিদিনই বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে রেকর্ড সংখ্যক যানবাহক পারাপার হয়েছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সাধারন দিনে যে পরিমাণ যানচলাচল করতো তার চেয়ে কম যানবাহন মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করছে। মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ার কোন সম্ভবনা নেই কারণ ঢাকার বাইপাইল, চন্দ্রা, গাজীপুর অংশে তেমন পরিবহন বা মানুষের চাপ নেই। জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, মহাসড়কে যানবাহন চলাচল একেবারেই স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও যানবাহন আটকে নেই। তবে গেল দুইদিন মহাসড়কে প্রচুর গাড়ীর চাপ ছিল।
এর আগে মঙ্গলবার (১১ মে) ভোর ৬টা থেকে বুধবার (১২ মে) ভোর ৬টা পর্যন্ত সময়ে দুই কোটি ৭৩ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছিল।
সময় জার্নাল/এমআই