স্পোর্টস ডেস্ক:
গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টে একটি দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন পাকিস্তানের ক্লোজ-ইন ফিল্ডার আবদুল্লা শফিক। অন্যদিকে ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্টে দুরন্ত একটি ক্যাচ ধরেন ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার জনি বেয়ারস্টো।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, দুটিটি ক্যাচ ধরা এতটাই কঠিন ছিল যে কোনো একটিকে সেরা বেছে নিতে হিমশিম খাবেন বিশেষজ্ঞরাও।
গলে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসে আগা সালমানের বলে শ্রীলঙ্কার উইকেটকিপার সাদিরা সমরাবিক্রমের দারুণ ক্যাচ ধরেন শফিক। ইনিংসের ৫৫.৫ ওভারে ক্রিজ ছেড়ে অনেকটা এগিয়ে গিয়ে সালমানের বলে লেগ-সাইডে ডিফেন্সিভ শট খেলেন সাদিরা। বল ব্যাটের কানায় লেগে ফাইন লেগের দিকে যাচ্ছিল। ব্যাটসম্যান এগিয়ে গিয়েছেন দেখে শফিক প্রাথমিকভাবে বাঁ-পায়ে ভর দিয়ে বাঁ-দিকে বল আসতে পারে ভেবে প্রস্তুত ছিলেন। তবে বল উড়ে যায় তার ডানদিকে।
ভুল পায়ে ভর দিয়েই শফিক দুর্দান্ত রিফ্লেক্স দেখান। তিনি শেষ মুহূর্তে ডানদিকে শরীর ফেলে এক হাতে অত্যন্ত নিচু ক্যাচ ধরে নেন। ফলে ব্যক্তিগত ১১ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরতে হয় সাদিরাকে। পাকিস্তান শেষমেশ ৪ উইকেটের ব্যবধানে গল টেস্ট জিতে নেয়। সন্দেহ নেই যে দলের জয়ে আবদুল্লাহর ক্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
অন্যদিকে ম্যাঞ্চেস্টারে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ক্রিস ওকসের বলে মিচেল মার্শের যে ক্যাচটি ধরেন বেয়ারস্টো, তা উইকেটকিপার হিসেবে তার দক্ষতার প্রমাণ দেয়। এমন ক্যাচ ধরতে পারলে যেকোনো উইকেটকিপারই আহ্লাদে গদগদ হবেন নিশ্চিত।
ইনিংসের ৬২.৫ ওভারে ওকসের বল মার্শের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে ফার্স্ট স্লিপ অঞ্চলে উড়ে যাচ্ছিল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বল এতটাই নিচু ছিল যে তা স্লিপ ফিল্ডার জো রুটের হাতে পৌঁছত না। আগেই ড্রপ পড়ত মাটিতে।
বেয়ারস্টো ডানদিকে শরীর ছুঁড়ে এক হাতে ক্যাচ ধরে নেন। জনি কার্যত ছোঁ-মেরে মাটি থেকে বল তুলে নেন বললে ভুল বলা হয় না মোটেও। মার্শকে ব্যক্তিগত ৫১ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরতে হয় বেয়ারস্টোর এমন দুর্ধর্ষ কিপিংয়ের জন্যই।
সময় জার্নাল/এলআর