শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
একটি খালে দুই সেতু। যুক্ত হয়নি ৭০ মিটার খালের দুই তীর। বরং মাঝখানে মাটি ভরাট করে সংযোগ দেওয়া হয়েছে দুই সেতুর। সাম্প্রতিক বন্যায় মাঝের সেই ১০ মিটার মাটির রাস্তা ধসে যাওয়ায় এখন মই দিয়ে উঠতে হচ্ছে সেতু দুটিতে।
এমনই বিড়ম্বনার দুই সেতু তৈরি করা হয়েছে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের চরবৈরাতী গ্রামের হাজিরহাট এলাকায়।
প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে দুই সংস্থা সেতু দুটি নির্মাণ করে। সদ্যনির্মিত সেতু দুটি এখন কোনো কাজেই আসছে না এলাকাবাসীর। তাদের অভিযোগ, দুই সংস্থার সমন্বয়হীনতা ও ত্রুটিপূর্ণ পরিকল্পনায় এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ‘স্বপ্নের সেতু’ এখন অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় যে সেতুটি করা হয়েছে, সেটিতে পাইলিংয়ের বদলে বেইস ঢালাইসহ নানা অনিয়ম হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার বিল তুলে নিয়েছেন। আরেকটি সেতু করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। কোনো সেতুরই সংযোগ সড়ক করা হয়নি।
এদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ত্রাণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অর্থায়নে সদ্যেনির্মিত ব্রীজ টি তিস্তার ভয়াবহ বন্যায় সংযোগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটি মাননীয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ পরিদর্শন করেছে এবং সেটি খুব শিগগিরই সেতুটি চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করে সেতুটি চলাচলের উপযোগী করা হবে।
এমআই