সৌরভ শুভ, জাবি প্রতিনিধি:
টানা দ্বিতীয় বারের মতো ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়াম (আইসিওএম) এর বাংলাদেশের জাতীয় কমিটির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান।
এবছরের ১৬ জুন ২০২৩ এবং ১৪ জুলাই ২০২৩ তারিখে ঢাকায় সংগঠনটির দুই স্তরের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নিবার্চনে সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে চেয়ারপারসন নির্বাচিত হোন অধ্যাপক মোস্তাফি।
আট সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী বোর্ডে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কীপার আসমা ফেরদৌসি ভাইস-চেয়ারপারসন এবং হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন সম্মানসূচক চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া আহসান মঞ্জিল জাদুঘরের উপ-কীপার সেরাজুল ইসলাম সাধারন সম্পাদক এবং টাকা জাদুঘরের কিউরেটর ড. আছিয়া খানম লিখন ট্রেজারার নির্বাচিত হয়েছেন। সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোকাম্মেল হোসেন ভূঁইয়া ও সহযোগী অধ্যাপক সিকদার মো. জুলকারনাইন ও এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সহকারী কিউরেটর মোমিনুর রশীদ।
আইসিওএম নবনির্বাচিত চেয়ারপারসন সুফি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এটা আমার জন্যে খুবই গর্বের ব্যাপার। বিশ্বের ১৪১টি দেশ এই সংগঠনের সদস্য। আমার লিডারশিপে আমি চেষ্টা করব বাংলাদেশের জাদুঘরগুলোতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসতে। মানুষকে জাদুঘরের প্রতি আগ্রহী করা এবং জাদুঘরের মাধ্যমে আমাদের যে ইতিহাস প্রদর্শিত হয় সেটিকে সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক জাদুঘর পরিষদের বার্ষিক একটি সভা হয়ে থাকে। ওই সভায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জাদুঘর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকেন৷ এর মাধ্যমে আয়োজক দেশের কৃষ্টি,সংস্কৃতি, ইতিহাস ঐতিহ্য আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরা হয়৷ বাংলাদেশে এখনো এ সভা আয়োজিত হয় নি। আমার চেষ্টা থাকবে বাংলাদেশে এ সভা আয়োজন করার।
ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়াম জাদুঘর বিষয়ে সবচেয়ে বৃহৎ সংগঠন। ১৯৪৬ সালে এ প্রতিষ্ঠানটি গঠিত হয়। বিশ্বের ১৪১টি দেশ এ প্রতিষ্ঠানের সদস্য। এটির ১২৫ টি জাতীয় কমিটি, ৩২ টি আন্তর্জাতিক কমিটি, ৮ টি আঞ্চলিক কমিটি ও ২২টি এফিলিয়েটেড সংস্থা রয়েছে৷ ইউনেস্কোর এ প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বব্যাপী জাদুঘর ও জাদুঘর পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ ও মানোন্নয়ন, জাদুঘর বিষয়ে গবেষণা, জাদুঘর সংশ্লিষ্ট গাইডলাইনস নীতিমালা প্রস্তুত ও প্রচার, জাদুঘর বিষয়ে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা তৈরিতে এই বৈশ্বিক সংগঠন অনন্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
এমআই