সর্বশেষ সংবাদ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের মণিপুর রাজ্যের সহিংসতা নিয়ে মুখ না খোলায় সংসদে (লোকসভায়) অনাস্থা ভোটের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব করলে এটি গ্রহণ করেন স্পিকার ওম বিরলা। তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে কয়েকদিনের মধ্যেই ভোটের তারিখ ঘোষণা করবেন তিনি।বুধবার (২৬ জুলাই) কংগ্রেসের এক আইনপ্রণেতা এই অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব করেন। মূলত সরকারের পতন ঘটাতে এ ধরনের ভোট হয়ে থাকে। যেমনটা হয়েছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ক্ষেত্রে। তবে ইমরানের মতো মোদির প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর কোনো শঙ্কা নেই। এছাড়া বড় কোনো সমস্যায়ও পড়বেন না তিনি। কারণ ৫৪৩ আসনের লোকসভায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জোট দল এনডিএ-এর।বিরোধী দল কংগ্রেসও জানিয়েছে, মোদিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এ অনাস্থা ভোট প্রস্তাব করেনি তারা। মূলত মণিপুর ইস্যু নিয়ে যেন মোদি বিস্তারিত আলোচনা করেন সেজন্য এটির ব্যবহার করছেন তারা।অনাস্থা ভোটের মুখে পড়ায় এখন মোদিকে নিজের সরকার নিয়ে বিস্তর আলোচনা করতে হবে। নিজের এবং সরকারে পক্ষে সাফাই গাইতে হবে। জুনের প্রথম সপ্তাহে মণিপুরে জাতিগত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে এখন পর্যন্ত ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু এ সহিংসতা নিয় মুখ খোলেননি মোদি। যদিও গত সপ্তাহে দুই নারীকে বিবস্ত্র করে করে হাঁটানোর ঘটনা ভাইরাল হলে এ নিয়ে সংক্ষিপ্ত কথা বলতে বাধ্য হন তিনি।২০১৪ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা মোদি এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অনাস্থা ভোটের মুখে পড়লেন। ২০১৮ সালে তার সরকারের বিরুদ্ধে ভোটাভোটি হলেও সেটি বাতিল হয়ে যায়। ভারতের আইন অনুযায়ী লোকসভায় যদি কোনো দল অনাস্থা ভোট আনতে চায়, তাহলে কমপক্ষে ৫০ জন আইনপ্রণেতাকে এই প্রস্তাবে সমর্থন জানাতে হবে। যা কংগ্রেস খুব সহজেই পেয়ে গেছে।মনোজ কে ঝা নামের এক বিরোধী দলীয় নেতা সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমরা সবাই জানি সংখ্যায় আমরা এগিয়ে নেই। কিন্তু বিষয়টি সংখ্যা নয়, প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে অনাস্থা ভোট নিয়ে কথা বলতে হবে এটিই আসল।’কংগ্রেস নেতা মানিকাম ঠাকুর বলেছেন, ‘বিরোধী দল অনাস্থা ভোট প্রস্তাব করতে বাধ্য হয়েছে কারণ এটিই ছিল শেষ অস্ত্র।’ সময় জার্নাল/এস.এম
এ বিভাগের আরো
মধ্যপ্রাচ্য সংকট
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল