মো: ইমরান মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খোকার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে একটি স্বার্থনেশী মহল। তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন সময় নানান অপবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছেন। সবশেষ অতিদরিদ্রদের কর্মসৃজন প্রকল্পের ১২ জন শ্রমিকের টাকা আত্মসাৎ করার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। তবে লিখিত অভিযোগকারীদের কয়েকজন বলছেন তাঁদের কাছ থেকে কৌশলে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন।
গত ২৩ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম মিঞা কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের কর্মসৃজন প্রকল্পে সুবিধাভোগী হতদরিদ্র শ্রমিক কাজ করেন। তাদের শ্রমমূল্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাওয়ার কথা। কিন্তু মোবাইল ব্যাংকিংয়ের একাউন্টকৃত সিম বর্তমান চেয়ারম্যান নিজের জিম্মায় রেখে দিলে শ্রমিকরা তাদের মজুরি থেকে বঞ্চিত হন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,গত বছর শুরুর সময় সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল করিম ফরহাদ দায়িত্ব পালন করেন।তার দায়িত্ব পালনের সময় কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকের তালিকা করা হয়।তালিকা করার ক্ষেত্রে বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খোকার কোন ভূমিকা নেই।
অভিযোগ পত্রের স্বাক্ষরকারী নুরেজা বেগম বলেন- আমি বর্তমান চেয়ারম্যানের নামে কোন ধরনের অভিযোগ দেয়নি।হানিফ নামে এক নেতা আমার নিকট থেকে স্বাক্ষর নিয়েছে।বলেছে স্বাক্ষর দিলেই কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা পাবো।
গুজামানিকা এলাকার সাদ্দাম হোসেন বলেন আমাকে টাকা দেওয়ার কথা বলে হানিফ স্বাক্ষর নিয়েছে। আমি চেয়ারম্যানের নামে কোন অভিযোগ দেয়নি।
হানিফ নামে ও-ই নেতার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আমি নুরেজা ও সাদ্দামের নিকট থেকে কোন ধরনের স্বাক্ষর নেয়নি।সাবেক চেয়ারম্যানের ঘনিষ্টজন হিসাবে আমার নাম বলতেছে। সিমের বিষয়ে হানিফ বলেন সিম প্রথমে সাবেক চেয়ারম্যানের নিকট ছিলো।বর্তমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর উপজেলা ও ইউনিয়ন আ'লীগ নেতাদের উপস্থিতিতে তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
আদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খোকা বলেন, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি পক্ষ অপপ্রচার চালাচ্ছে। বর্তমানে যেই অভিযোগের অপপ্রচার চালাচ্ছে এটা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কারন সাবেক চেয়ারম্যানের সময় শ্রমিকের তালিকা করেছে। সেই সময় ব্যাককিং একাউন্টের সিম কার নিকট ছিলো শ্রমিকরা ও সাবেক চেয়ারম্যানই ভাল বলতে পারবে।
এমআই