সাব্বির আহম্মেদ, জয়পুরহাট প্রতিনিধি :
গত পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় যে বেচাকেনা করেছেন তার চার ভাগের এক ভাগও বিক্রি করতে পারেনি এ বছর মৌসুমী আতর ব্যবসায়ীরা। ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন জায়গা থেকে ধারদেনা করে দোকানে আতর-টুপি তুলেছিলেন তারা।
দশ বছর থেকে জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় মসজিদ এর সামনে ভ্রাম্যমান আতর-টুপি দোকান দিয়ে আসছেন মৌসুমী ব্যবসায়ী জোবায়ের আহম্মেদ।
মৌসুমী এ ব্যবসায়ী জোবায়ের আহম্মেদ বলেন, ঈদের আগের তিনদিন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার টুপি-আতর বিক্রি হয়। এ বছর বিক্রি একেবারেই কম। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে ঈদে জয়পুরহাটের বাহিরের লোকেরা ঠিকমত আসতে পারেনি। এছাড়াও ঈদের জামায়াত মসজিদে মসজিদে ও দুইদিন থেকে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার কারণে ক্রেতারা আসতে পারছেন না খুব একটা। এখন আমাদের সন্ধ্যা থেকে রাতটুকুই ভরসা। না হলে অবিক্রিত মালগুলো নিয়ে ঈদুল আজহার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় মসজিদ এর সামনে ভ্রাম্যমান দোকান ঘুরে দেখা যায়, অন্য বারের ঈদের সময়ের তুলনায় ক্রেতাদের ভিড় কম। দোকানীরা বাহারি টুপি ও আতর-সুরমার পসরা দিয়ে বসে আছে। টুপিগুলোর মধ্যে রয়েছে পাকিস্থানি, আল-আজিম, আল সাইফ, আল কবির-, সুতার বুনা হরেক রকম টুপি, হক্কানি টুপি ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের আতর যেমন শাহী দরবার, জোহরা, ফানটাসিয়া, দরবার, জেসমিন, কাঁচা বেলি, ব্লু লেডি চকোলেট বিক্রি হচ্ছে।
টুপি কিনতে আসা আরামনগর মহল্লার বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, করোনার কারণে আয় রোজগার কমে গেছে। তবুও নতুন জামা কাপড়ের সাথে টুপি-আতর কিনতেই হবে। তাই টুপি-আতর সুরমা কিনলাম।
জোবায়ের আহম্মেদসহ কয়েক জন মৌসুমী আতর ব্যবসায়ী জানান, বাজারে প্রচুর মানুষ ঘুরতেছে কিন্ত নিচ্ছে না। সুরমা-আতর বিক্রি কিছুটা হলেও টুপি বিক্রি হচ্ছে একেবারেই কম, তাই টুপি-আতর নিয়ে বিপদে আছি।
জয়পুরহাট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি আনোয়ারুল হক আনু মোবাইল ফোনে জানান, স্বচ্ছল পরিবাররা সারা বছরই কেনাকাটা করে কিন্ত নি¤œ বিত্তরা শুধু কোন উৎসবকে সামনে রেখে কেনাকাটা করে। করোনার কারণে নি¤œ বিত্তদের আয় কমে গেছে এজন্য এর প্রভাব শুধু টুপি-সুরমার দোকানেই নয় সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই পরেছে।
সময় জার্নাল/ইএইচ