মোঃ আবদুল্যাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নে অবস্থিত জামিয়া ওবাইদিয়া ফেরদাউসুল উলুম মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক এবং ছাত্রদের উপর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠে স্থানীয় ১নং নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ইয়াকুব নবীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ১২ টার সময় মাদরাসার কবরস্থানে একটা লাশ কবর দিতে গিয়ে গেটের চাবি নিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষক ও ছাত্ররা বলেন, গতকাল আমাদের মাদরাসার কবরস্থানে একটা লাশ কবর দিতে নিয়ে আসেন এলাকার স্থানীয়রা, আমরা যখন সকাল থেকে এই লোকের মৃত্যুর খবর পাই তখন থেকে মাদরাসার কবরস্থানের গেটের তালা খুলে রাখি, তারপরেও এলাকার ইয়াকুব নবী মেম্বারের ছেলে সহ কয়েকজন আমাদের বলেন তাদেরকে চাবি দিয়ে দিতে, আমরা যখন বলি চবি অন্যদের কাছেও আছে সেটা নেন এটা মাদ্রাসায় থাকবে এই কথা বলাতে তারা অকাট্য ভাষায় গালি দিয়ে আমাদের উপর হামরা চালায়। এতে শিক্ষক সহ কয়েকজন ছাত্র গুরুত্বর আহত হন। রড় দিয়ে আগাত করে একজন শিক্ষকের দাঁত ভেঙে দিয়েছে মেম্বার নিজে।
প্রধান শিক্ষক মুফতি ওমর ফারুক নুরী বলেন, মাদরাসার এতিম ছাত্রদের উপর এমন নেক্কারজনক ঘটনা কি করে ঘটালেন একজন জনপ্রতিনিধি, মেম্বার নিজে ছাত্রদের উপর লোহার রড় দিয়ে হামলা চালান, এবং বর্তমানেও বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে আসছেন মেম্বারের লোকজন, এর কারণে ছাত্ররা বাহিরে যেতেও ভয় পাচ্ছে, এমতাবস্থায় আমি মেম্বার ও তার সহযোগীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে ইউপি সদস্য ইয়াকুব নবী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অশিকার করে বলেন, এটা সম্পর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট, উল্টো মাদরাসার হুজুরের নির্দেশে ছাত্ররা আমাদের উপর হামলা চালায়। পুলিশ এসে সত্যতা পেয়েছেন বলেও জানান এই মেম্বার। এবং নারী পুরুষ মিলে তার কয়েকজন লোক আহত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
হামলার বিষয় শিকার করে অত্র ইউপি চেয়ারম্যান এ.কে.এম সিরাজ উল্যাহ জানান, ঘনটাটি সত্য, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি, এবং থানা পুলিশের সাথে কথা বলেছি, থানাতে একটা অভিযোগ করেছেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ, ওসির সাথে কথা হয়েছে আমার, আমি আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে বসে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনবো। এবং সুস্থ একটা সমাধান করে দেবো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, লিখিত একটা অভিযোগ পেয়েছি, তবে চেয়ারম্যান বলছেন নিজেদের মধ্যে বসে সমাধান করে নিবেন, তারপরেও আমরা অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখতেছি, অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।