আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েল দখলদার বাহিনীর অব্যাহত বিমান হামলার মুখে আতঙ্কে জীবন বাঁচাতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনি নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাড়ি ছেড়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে ফিলিস্তিনে যত হামলা চালানো হয়েছে তার ৯৫ শতাংশই ছিল আকাশপথে বা জঙ্গি বিমান হামলা। স্থানীয় ফিলিস্তিনিরা বলছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার অধিকাংশ লক্ষ্যবস্তু আবাসিকভবনগুলো। বোমা হামলা ছাড়াও ইসরায়েলি জঙ্গি বিমান থেকে আবাসিকভবন লক্ষ্য করে গুলি চালানো হচ্ছে। ফলে প্রাণ বাঁচাতে বাড়ি ছাড়ছেন তারা।
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা জানায়, করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও জীবন বাঁচাতে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে স্কুল, মসজিদ ও অন্যান্য স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। এসব স্থানে পর্যাপ্ত পানি, খাবার, স্বাস্থ্যসেবার কোনো ব্যবস্থা নেই। নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো উপায়। হাসপাতালগুলোর বেশ কিছু সেবা ও সুপেয় পানি যোগান বিদ্যুতের ওপর নির্ভর করে। যেটা আসে মূলত জ্বালানি তেল থেকে। আগামী রবিবারের মধ্যে ওই এলাকায় জ্বালানি তেলে সংকট দেখা দেবে।
এমন অবস্থায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এবং ফিলিস্তিন গ্রুপগুলোকে অবিলম্বে সেখানে জাতিসংঘ এবং এর মানবিক অংশীদারদের জ্বালানি, খাদ্য ও চিকিত্সা সেবা সরবরাহ করতে এবং মানবিক কর্মী মোতায়েনের অনুমতি দেবে বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। গত সোমবার থেকে এ অঞ্চলে একের পর এক বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি জঙ্গি-বিমান। পাশাপাশি এবার স্থল আক্রমণ শুরু করেছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় রাত থেকেই আকাশপথের পাশাপাশি স্থলপথেও হামলা চালানো হচ্ছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, ইসরায়েলি বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত ৩১ শিশু ও ২০ নারীসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৬ জনে। আজও নতুন করে ১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এছাড়াও আহত হয়েছেন অন্তত ৯২০ ফিলিস্তিনি।
জানা যায়, ইসরায়েলে হওয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধে শুক্রবার বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ৪০ মিনিট ধরে চলা এ হামলায় নতুন করে আরও নিহতদের মধ্যে তাদের মধ্যে এক মা ও তার তিন শিশু ছিলেন। ধ্বংসস্তূপ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।