আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নরেন্দ্র মোদীর পদবী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে সংসদ সদস্য (এমপি) পদ হারিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এ নিয়ে নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে লোকসভায় প্রবেশের অধিকার ফেরত পেলেন ভারতীয় কংগ্রেসের নেতা। এর ফলে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দেওয়ায় আর কোনো বাধা থাকলো না তার।
মোদী পদবী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার কারণে গত ২৩ মার্চ সুরাটের একটি আদালত রাহুলকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। সেই নির্দেশের ২৬ ঘণ্টার মধ্যে তার সংসদ সদস্য পদ খারিজ করে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
পরে সুরাট আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপিল করেন রাহুল। কিন্তু সেখানেও খারিজ হয়ে যায় তার আবেদন। এরপর সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। অবশেষে গত শুক্রবার নিম্ন আদালতের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
কিন্তু সুরাট আদালতের রায়ের পরে যে ক্ষিপ্রতায় রাহুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি লোকসভা সচিবালয়ের। এ নিয়ে বিরোধীরা সমষ্টিগতভাবে স্পিকারের ওপর চাপ তৈরি করেছিলেন। এমনকি কংগ্রেস ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ারও হুমকি দিচ্ছিল।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই স্পিকার ওম বিড়লা জানিয়ে দেন, রাহুলের লোকসভার সদস্য পদ ফেরানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার থেকে লোকসভায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটি হওয়ার কথা। স্পিকারের এই পদক্ষেপের পর রাহুলের অনাস্থা প্রস্তাবে অংশ নেওয়ায় আর কোনো বাধা রইলো না।
এদিন স্পিকার রাহুলের সংসদ সদস্য পদ ফেরানোর পরপরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন কংগ্রেস সমর্থকরা। দলীয় দপ্তরে মিষ্টিমুখ করানো হয় নেতাকর্মীদের। এই ঘটনাকে ভারতে ‘গণতন্ত্র ও বিচার ব্যবস্থার বিজয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন কংগ্রেস নেতারা।
সময় জার্নাল/এলআর