সময় জার্নাল ডেস্ক:
বাজার যেন এক শিশুর খেলার মাঠ। ইচ্ছামতো দৌড়াচ্ছে, লাফাচ্ছে। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, দিনমজুর মানুষের বড় অংশের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ডিম। শরীরে প্রয়োজনীয় সুষম খাদ্যের ঘাটতি মেটাতে মাছ ও মাংসের পরিবর্তে ডিম খাচ্ছিলেন, এখন সেই ডিমের দাম আকাশচুম্বি হওয়ায় কপালে ভাঁজ পড়েছে তাদের।
কাঁচা বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডিমের দাম। ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি পিস সাড়ে ১৩ টাকায় বিক্রি হলেও হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১৭ টাকায়।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর খিলক্ষেতসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখন প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির বাদামি রঙের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। হাঁস ও দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকার মধ্যে।
পিছিয়ে নেই কাঁচা মরিচ। কেজি ১৫০-১৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১৭০-২০০ টাকা। দেশি আদা ৪০০ টাকা ও ভারতীয় আদা ২৪০-২৮০ টাকা হয়েছে।
টমেটোর দাম বেড়ে ২৮০-৩০০ টাকা, প্রতিপিস চালকুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, চিকন বেগুন ৩৫-৪০ টাকা থেকে কমে ২০ টাকা, গোল বেগুন ৫৫-৬০ টাকা থেকে কমে ৫০ টাকা, পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা, করলার ৬০-৮০ টাকা, বরবটি ৪০-৫০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১০-১২ টাকা, শুকনো মরিচ ৫৫০-৬০০ টাকা, প্রতিপিস লাউ ৩৫-৪০ টাকা, ধনেপাতা ১৭০-২০০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালি ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩০০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাস ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সময় জার্নাল/এলআর