সময় জার্নাল ডেস্ক: পঞ্চম ধাপে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ছয়টি জাহাজ নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে দুই হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গা। ৩ মার্চ (বুধবার) সকাল ১০টার দিকে তাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয় জাহাজগুলো।
স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে রোহিঙ্গারা মঙ্গলবার (২ মার্চ) উখিয়া কলেজ মাঠের ট্রানজিট পয়েন্টে জড়ো হন। এরপর তাদের দুপুর ১টায় পঞ্চম দফার প্রথম অংশে ২০টি বাসে করে এক হাজার, বিকাল সাড়ে ৩টায় আরও ২০টি বাসে এক হাজারসহ মোট দুই হাজার ২৬০ রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু নিয়ে উখিয়া থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়।রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুটি বাস, দুটি অ্যাম্বুলেন্স সঙ্গে যেতে দেখা যায়। এছাড়াও তাদের মালামাল বহন করে ১১টি কার্গো ভ্যান।
কক্সবাজারের আরআরআরসি কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার ধাপে নোয়াখালীর ভাসানচরে আবাসন নিশ্চিত হয়েছে ৯ হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গার। প্রথম দফায় গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গেছেন। এরপর ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে যান ১ হাজার ৮০৫ জন ও তৃতীয় ধাপে দুইদিনে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ৩ হাজার ২০০জন রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তর হয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দিন ২ হাজার ১৪জন ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭৯জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে উখিয়া কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প ত্যাগ করে। আজ (২ মার্চ) ও আগামীকাল আরও তিন সহস্রাধিক রোহিঙ্গাকে ভাসানচরের পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পে আশ্রয়ে থাকাদের মাঝ থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করার পরিকল্পনায় কাজ করছে সরকার।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
সময় জার্নাল/