নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ডেনিস মানতুরভ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু মস্কোয় প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীর সময় ব্রহ্মস এরোস্পেসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললেন ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে। রাশিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রদূত পবন কাপুর সোমবার ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি টেকনিক্যাল ফোরামে ইন্ডিয়া প্যাভিলিয়নের উদ্বোধন করেছেন। ভারতের অন্যতম শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র এই ব্রহ্মস। ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে প্রথমবার ২০০৫ সালে তৈরি হয় এই ক্ষেপণাস্ত্র। পরে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পবন কাপুর জানান, রুশ উপ-প্রধানমন্ত্রী ডেনিস মানতুরভ ভারতের তৈরি কিছু ক্ষেপণাস্ত্র দেখে আনন্দিত। যা থেকে পরিষ্কার ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হওয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে নিত্যনতুন পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে।
রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, আর্মি ২০২৩ আন্তর্জাতিক সামরিক-প্রযুক্তিগত ফোরাম ১৪-২০ আগস্ট অ্যালাবিনো প্রশিক্ষণ গ্রাউন্ড এবং কুবিঙ্কা এয়ারফিল্ডে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগের বিভিন্ন পণ্য পরিদর্শন করেছেন যা সোমবার মস্কোর বাইরে কুবিঙ্কায় শুরু হওয়া আর্মি-২০২৩ ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি-টেকনিক্যাল ফোরামে প্রদর্শিত হয়।
ভারতের প্রদর্শনী স্ট্যান্ডে ওরিওল রাউন্ড-দ্য-ক্লক, অপটিক্যাল-ইলেক্ট্রনিক, মাল্টিফাংশনাল ডিভাইস, অরলান-৩০ এবং অরলান-১০ মনুষ্যবিহীন এরিয়াল ভেহিকেল (ইউএভি), গাইডেড যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত কুব সিস্টেম, ছোট ও মাঝারি অস্ত্রে সজ্জিত ল্যানসেট সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত ছিল। সের্গেই শোইগুকে প্ল্যানশেট-এম-আইআর আর্টিলারি ব্যাটালিয়ন ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম, ইন্টিগ্রেটেড ইন্টেলিজেন্স প্রসেসিংয়ের
জন্য সালাগো-সিস্টেম এবং পিআরপি-৫ মার্স-২০০০ মোবাইল রিকনেসান্স ভেহিকেল এবং সমন্বিত বুদ্ধিমত্তার জন্য সালাগা-ও সিস্টেমের ক্ষমতা সম্পর্কেও অবহিত করা হয়েছিল। এয়ার-টু-এয়ার অ্যাডভান্সড গাইডেড এয়ারবর্ন মিসাইলসহ প্রতিরক্ষা খাতে পরিবেশনকারী বেশ কয়েকটি রাশিয়ান কোম্পানির দ্বারা উৎপাদিত পণ্যগুলিও দেখেন। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের সম্পর্ক যে অটুট রয়েছে তা দুই দেশের একযোগে কাজ দেখেই প্রমাণিত।
আর তাই আগামী দিনে ব্রহ্মসের অত্যাধুনিক রূপ দেখার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ব্রহ্মস মিসাইল হলো এক ধরনের সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল যা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেমন সাবমেরিন, জাহাজ, এরোপ্লেন বা স্থল থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়। এটি বর্তমানে বিশ্বের দ্রুততম সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং এটি ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) ও রাশিয়ার NPO Mashinostroyeniya-এর মধ্যে একটি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটির নামকরণ করা হয়েছে দুটি নদীর নামানুসারে, ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং রাশিয়ার মস্কভা।
এমআই