সর্বশেষ সংবাদ
সবাইকে চমকে দিয়ে গত ১৮ জুলাই দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সীমান্ত পার হয়ে উত্তর কোরিয়ায় ঢুকে পড়েন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সদস্য ট্রাভিস কিং। উত্তরে প্রবেশের পরই তাকে নিজেদের জিম্মায় নেয় দেশটি।
আর সেই সৈন্যকে নিয়ে প্রথমবারের মতো বিস্তারিত তথ্যসহ মুখ খুলেছে উত্তর কোরিয়া। তারা দাবি করেছে, মার্কিন সেনা ট্রাভিস কিং তাদের জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীতে ‘দুর্ব্যবহার ও বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়ার কারণে’ তিনি উত্তর কোরিয়ায় পালিয়ে এসেছেন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন, ট্রাভিস কিং তাদের কাছে অথবা তৃতীয় কোনো দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। তবে উত্তর কোরিয়ার এমন দাবির সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো ট্রাভিসকে ‘যে কোনো উপায়ে’ দেশে ফিরিয়ে আনা।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল, ট্রাভিস সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। এরপর থেকে তার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি।
ট্রাভিস সেনাবাহিনীতে ২০২১ সাল থেকে আছেন। তিনি সেনাবাহিনীতে মূলত একজন নজরদারি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতেন। যখন তিনি উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন তখন তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েন ছিলেন।
তবে উত্তরে প্রবেশের আগে, হামলার অভিযোগে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই মাসের জন্য জেল খাটেন। গত ১০ জুলাই তিনি মুক্তি পান। মুক্তির পরই তার যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতো।
কিন্তু অন্যান্য কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমানবন্দর থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হন তিনি। এরপর একটি ট্যুর টিমের সঙ্গে চলে যান উত্তর-দক্ষিণকে বিভক্ত করা ডিমিলিটারাইজড জোনে (ডিএমজেড)। সেখান দিয়ে হঠাৎ করে সবাইকে চমকে দিয়ে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন তিনি।বর্তমানে ট্রাভিসকে ফিরিয়ে আনতে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: বিবিসি
সময় জার্নাল/এস.এম
এ বিভাগের আরো
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল