স্পোর্টস ডেস্ক:
প্রথম ম্যাচটা জিতলে অনেকটাই নির্ভার থাকা যেতো। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় লঙ্কানদের বিপক্ষে ৫ উইকেটের হার দিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ।
এখন আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচটা জিততেই হবে। তারপর আবার পড়তে পারে রানরেটের হিসাব-নিকাশ, যদি আফগানিস্তান আবার লঙ্কানদের বিপক্ষে জিতে যায়।
বাংলাদেশের সুপার ফোরে ওঠার সম্ভাবনা তাই পড়ে গেছে ঝুঁকির মুখে। তবে লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচে ৮৯ রানের এক ইনিংস খেলে প্রায় একাই লড়াই করা নাজমুল হোসেন শান্তর বিশ্বাস, এখনো সুপার ফোরে যাওয়া সম্ভব।
সুপার ফোরে নাম লেখানো এখন কতটা বাস্তবতা? ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা শান্ত বলেন, ‘অবশ্যই সম্ভব। তবে এতদূর চিন্তা না করে আমাদের এখন পরের ম্যাচটা কীভাবে জিততে পারি, সেটা নিয়েই পরিকল্পনা করতে হবে, প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা ওই ম্যাচটা জেতার জন্যই খেলবো। ম্যাচটা যদি জিতি, তাহলে কী পরিস্থিতি দাঁড়ায়, সেটা তখনই দেখা যাবে।’
শান্ত জানালেন, পাল্লেকেলেতে লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুব সহজ ছিল না। তবে তাদের আরও ভালো ব্যাটিং করা দরকার ছিল, সেটা মানছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
শান্তর ভাষায়, ‘এটা বলবো না যে উইকেট অনেক সহজ ছিল। নতুন বলে হয়তো একটু সহজ ছিল, তবে বল যখন পুরোনো হয়, তখন কঠিন ছিল খেলা। আমার মনে হয়, আমরা ওপরের দিকের ব্যাটাররা যদি ভালো জুটি গড়তে পারতাম, তাহলে হয়তো এ রকম সমস্যায় পড়তে হতো না। আমাদের আরেকটু ভালো ব্যাটিং করা উচিত ছিল।’
লিটন দাস চোটের কারণে না থাকায় বাংলাদেশ একাদশে প্রথম চার ব্যাটারই ছিলেন বাঁহাতি। এটা কি কোনো সমস্যার কারণ হয়েছে বা প্রতিপক্ষ বোলাররা কি সেই সুবিধা নিয়েছেন?
শান্তর জবাব, ‘আমার মনে হয় না, এটা কোনো সমস্যা ছিল। কারণ, সবাই বাঁহাতি-ডানহাতি বোলারদের খেলার প্রস্তুতি নিয়েই আসে। আমাদের সবারই সামর্থ্য আছে যেকোনো পরিস্থিতি ও যেকোনো বোলিংয়ের বিপক্ষে ব্যাটিং করার।’
এমআই