মোঃ আবদুল্যাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলায় দুই ভাইয়ের যায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলাকে কেন্দ্র করে বাড়ির চলাচলের পথের উপর গেট নির্মাণের মাধ্যমে বাড়িতে ছোট ভাই ও তার পরিবারের লোকজন যেনো না আসতে পারে এমন একটি অভিযোগ উঠেছে আবদুল হাই মাষ্টার নামে এক লোকের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামের সাতবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিন যাবত পৈত্তিক সম্পত্তি ভোগ করে আসছেন একই বাড়ির মৃত সৈয়দ আবদুল আউয়ালের ছেলে সৈয়দ মোস্তফা কামাল, কিন্তু হটাৎ করে মৃত তবারক আলীর ছেলে ভুক্তভোগীর ফুপাতো ভাই আবদুল হাই মাষ্টার তার ভোগ দখলীয় সম্পত্তি ক্রয় সুত্রে মালিক দাবি করে আসছেন।
যাহা সম্পূর্ণ ভুয়া এবং বৃত্তিহীন। গত কয়েকদিন ধরে মাষ্টার ইট বালু সিমেন্ট এনে বাড়ির প্রবেশ পথে একটি গেট নির্মাণ কাজ শুরু করেন, যাহা তিনি বাড়িতে থাকা আমি সহ আরো কয়েকটি পরিবার আছেন কারো সাথে যোগাযোগ করেননি এবং বাঁধা দিলে বলেন, এখানে তার বাড়িতে তিনি গেট দিচ্ছেন কাউকে হাটতে দেওয়া হবেনা, সব সময় গেটে তালা বন্ধ থাকবে।
সৈয়দ মোস্তফা কামাল বলেন, দেশ স্বাধীনের আগ থেকে এটা আমাদের পৈত্রিক বসতবাড়ি, এখানে আমার বাব দাদারা বসবাস করে গেছেন এবং বর্তমানে বাড়িতে প্রবেশ পথের পাশেই তাদের কবর রয়েছে। আমার বাবার সম্পত্তির মালিকতো আমিই হবো।এখন আমার ফুপাতো ভাই তিনি তার নানার সম্পত্তির উপর বসবাস করে আসছেন।
কিন্তু ভাই এখন আমার বাবার সম্পত্তি তার দাবি করে এখানে আমাদের কোন কিছু করতে দিচ্ছেনা। পুকুরে মাছ ধরতে দেয়না, এখন আবার বাড়িতে যেনো প্রবেশ না করতে পারি সেই জন্য তিনি একটি গেট নির্মাণ করতেছে। কাজ চলাকালে বাঁধা দিলে তিনি আমার লোকজনের উপর হামলা চালায় এবং আরো বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে পরিনতি আরো ভয়াবহ হবে।
তিনি আরো বলেন, এমতাবস্থায় আমি আমার বাবার সম্পত্তি বুঝে পাওয়া জন্য এবং আমার লোকজনের উপর সন্ত্রাসী হামলার বিচার চেয়ে কবিরহাট থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করি। পুলিশ এসে তদন্ত করে আপাতত কাজ বন্ধ করে গিয়েছেন এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে থানায় দুই পক্ষের কাগজ পত্র নিয়ে বসে সমাধান করে দিবে বলেছেন।
সৈয়দ আবদুল হাই মাষ্টারের কাছে অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তার বাবার কাছ থেকে যায়গাটি কিনে নিয়েছি। এখন সে তার দাবি করে থানায় অভিযোগ করেছেন। থানা পুলিশের মাধ্যমে কাগজপত্র যাচাই বাঁচাই করে যা হয় সেটাই আমি মেনে নেবো।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, চলাচলের পথ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ভুলবুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। থানায় একটি একটি অভিযোগ দিয়েছে যা তদন্তধীন রয়েছে। আশাকরি অতি শীঘ্রই তাদের দু'ভাইয়ের ভুলবুঝাবুঝির সমাধান হয়ে যাবে।
সময় জার্নাল/এলআর