সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের পড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্টি-র্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ সাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠি অনুযায়ী কারো বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলেই তার ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে।
চিঠিতে বলা হয়, 'ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছেন। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক র্যাগিং একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কারও বিরুদ্ধে র্যাগিং এর অভিযোগ প্রমানিত হলে তার ছাত্রত্বও বাতিল হতে পারে।'
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারও র্যাগিংয়ের সাথে সম্পৃক্ততা থাকলে আমরা তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবো। ইতোমধ্যে আমরা হল ও বিভাগসমূহকে অবগত করেছি। এছাড়া আমরা প্রক্টোরিয়াল বডিও সতর্ক আছি। '
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বিভাগগুলোকে র্যাগিং প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এবং আগামীকাল শনিবার সকালে এন্টি র্যাগিং ভিজিল্যান্স কমিটির উদ্যোগে ক্যাম্পাসে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, 'র্যাগিং নিয়ে আমরা সোচ্চার রয়েছি। বিভিন্ন যায়গায় নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং শব্দটি রাখতে চাই না।'
উল্লেখ্য আগামী শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ক্লাস। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সহসভা বিভাগসমূহ। প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভাগের আয়োজনে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হবে।
সময় জার্নাল/এলআর