শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় পেশাগত কাজে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় আসামী গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে লালমনিরহাটের সম্মেলিত সাংবাদিক সমাজ। এসময় সাংবাদিক নেতারা আসামীকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতা ও সহকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
হাতীবান্ধা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক কাজী আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, লালমনিরহাট রিপোর্টার্স ইউনিটির সিনিয়র সহ সভাপতি ও লালমনিরহাট টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান জুয়েল, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরল হক, হাতীবান্ধা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি শেখ সুমন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের লালমনিরহাটের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান সাজু, মোহনা টেলিভিশনের সাংবাদিক সুমন খান, লালমনিরহাট রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ সভাপতি রকিবুল হাসান রিপন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর আলমগীর অনু, আনন্দ টেলিভিশনের সাংবাদিক আব্দুর রহিম প্রমুখ।
জানা গেছে, উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হাসান জাহিদ জয় ও ওই ইউনিয়নের যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ও আসাদুল ইসলাম বিদ্যুৎ এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারনে বিদ্যুৎ হীন হয়ে পরে কয়েকশত পরিবার। পরে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে হাফিজুল ও আসাদুলের বাড়ি ঘেরাও করতে গেলে শুরু হয় বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলাকাবাসীর বক্তব্য ভিডিও ধারন করতে গেলে হাসান জাহিদ জয়ের হুকুমে লালমনিরহাট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাংবাদিক ইউনুস আলী ও আনন্দ টেলিভিশন এর সাংবাদিক আব্দুর রহিম এর উপর হামলা, ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করে আসাদুল ইসলাম আসাদ ও হাফিজুল ইসলাম। এসময় তারা দুজন গুরুতর আহত হয়। এবিষয়ে হাতীবান্ধায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও ঘটনার চারদিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার করেনি পুলিশ। উক্ত মানববন্ধনে দ্রুত আসামী গ্রেফতার করার জন্য দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
এবিষয়ে হাতীবান্ধা থানা অফিসার ইনচার্জ শাহআলম বলেন মামলা রুজু করা হয়েছে আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এমআই