সৌরভ শুভ, জাবি প্রতিনিধি:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিসিএস অফিসার্স ফোরাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষায় সকল বিভাগের প্রথম স্থান অধিকারী ৩৯ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ ব্যাচের (২০১৬-১৭ সেশন) শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর হিসেবে এ বৃত্তি লাভ করেন।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩ টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশন কক্ষে এ বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, বিসিএস ফোরামের এ উদ্যোগটি মেধার মূল্যায়নের অন্যান্য মাধ্যম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ টি বিভাগ ও ৪ টি ইন্সটিটিউট থেকে স্নাতক (সম্মান) এ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়া ৩৯ শিক্ষার্থীকে জাবি বিসিএস অফিসার্স ফোরাম বৃত্তি প্রদান করছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
স্নাতক পর্যায়ে প্রত্যেক বর্ষে প্রথম হওয়া শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান চালুর দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, অ্যালামনাই হিসেবে প্রত্যেক বিভাগের সবাইকে বৃত্তিপ্রদান এর আগে কখনো হয়নি। এজন্য আমি বিসিএস ফোরামকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিসিএস অফিসার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) মো. আঃ আহাদ বলেন, আমাদের সংগঠনে আড়াই হাজার বিসিএস ক্যাডার অফিসার্স রয়েছি। আমরা আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ ব্যাচের সকল বিভাগের স্নাতক পর্যায়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জনকারীদের বৃত্তি ও সনদ প্রদান করছি। আমরা ভবিষ্যৎ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বৃত্তিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা সিদ্দিক স্বর্ণা বলেন, এ বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠান শুধুমাত্র আমাদের না, আমাদের অনুজদের অনুপ্রাণিত করবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একজন দিনমজুর থেকে শুরু করে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের টাকায় চলে। আমি মনে করি, শুধু আমাদের বাবা মায়ের সম্মান বৃদ্ধি নয়, দেশের জনগণের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা যে পেশাতেই যাই না কেন? আমরা সর্বোপরি দেশের উন্নয়নে কাজ করব।
সমাপনী বক্তব্যে জাবি বিসিএস অফিসার্স ফোরামের সভাপতি ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, এটি কৃতির স্বীকৃতি। জাহাঙ্গীরনগরের প্রতি কৃতজ্ঞতার জায়গা থেকে আমরা এসেছি। ফুল ফোটার আগে যারা ঝড়ে যায়, তাদেরকে নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। তাহলেই জাহাঙ্গীরনগরের প্রতি কিছুটা ঋণশোধ করতে পারব। যারা গবেষণা ভিত্তিক কাজ করতে চায় আমরা ফোরাম থেকে তাদের সহযোগিতা করব। প্রায় আড়াই হাজার বিসিএস কর্মকর্তা নিয়ে আমাদের এ সংগঠন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা উন্নয়নে কাজ করে যাবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিল্প ও শক্তি বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) আবদুল বাকী, জাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, জাবি বিসিএস অফিসার্স ফোরামের কোষাধ্যক্ষ বজলুল করিম, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ, পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি আলমগীর কবির।
সময় জার্নাল/এলআর