ফাহিম হোসেন, ঢাবি প্রতিনিধি:
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনীমকে শাহবাগ থানায় নিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে ঢাকা মেট্রোপলিটন রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে। গতকাল রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টায় এমন ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রীয় এই দুই নেতা গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও এখন নিরব রয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনানকে একাধিকবার ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমাহ কোথাও বিবৃতিও দেননি। প্রতিবাদ প্রকাশ করেননি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রলীগের হল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের একাংশ।
মারধরের ঘটনায় কথা বলতে চাননি ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। এ ব্যপারে তানভীর হাসান সৈকতকে কল করা হলে তিনি বলেন, 'আমি এ ব্যপারে কিছুই জানি না৷'
এদিকে কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে মারধরের বিচার চেয়ে আজ দুপুর ২টায় রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ছাত্রলীগের হল নেতাকর্মীদের এই অংশটি। তারা জানান, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীকে হারুন বেধড়ক পিটিয়েছে। তাকে শুধু প্রত্যাহার করলে হবে না তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। এর আগে হারুন সাংবাদিকদের উপর নির্মম হামলা করেছেন। আইনজীবিদের উপর হামলা করেছেন। এমনকি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছেন। এডিসি হারুন সন্ত্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।"
তারা আরও বলেন, "তাদের অপরাধ থাকলে মামলা দিন। বিচার করুন। কিন্তু এত নির্মমভাবে তাদেরকে আক্রমণ করার অধিকার কে দিল? সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীকে মেরে রক্তাক্ত করা হলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব বিষয়ে সবসময়ই একটি নীরব ভূমিকা পালন করেছে। আমরা আশা করি সাধাডণ শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আন্দোলন করবে।"
এদিকে ক্ষোভ প্রকাশ করে সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের এক কর্মী সামাজিক যেগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, "সংগঠনটাকে বাপ-দাদার সম্প্ত্তির মতো চার ভাগ করে ফেলেছেন আপনারা। কর্মীর বিপদে রাজপথে আসেন নাহলে বক্তব্যে হাততালি দেওয়ার মতো কর্মী থাকবে না।"
বিজয় একাত্তর হলের এক কর্মী বলেন, নাঈম ও মুনীম ভাইয়ের উচিত ছিল দুই বছর ধৈর্য ধরে পড়াশোনা করে পুলিশ হয়ে যাওয়া। শুধু শুধু নিজের সোনালি জীবনের সময়টা নষ্ট করলেন। যাদের জন্য করলেন তারা আজ মাঠে নেই।
উল্লেখ্য, মারধরের ঘটনার জের ধরে এডিসি হারুন-অর রশীদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত ডিএমপি হেডকোয়াটার্স থেকে প্রকাশিত এক কার্যালয় আদেশে তাকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট উত্তর বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
এমআই