মো. জাহিদুল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
শাটল ট্রেন দুর্ঘটনার পর বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন, নিরাপত্তা দপ্তর, শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দের বাসসহ বিভিন্ন জায়াগায় ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় শনিবার দুটি মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি মামলায় সাত জন করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও এক হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্ত্বরের সামনে দুপুর ১২টার দিকে এ মানববন্ধনে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের চার দফা:
১.শিক্ষার্থীদের নামে দেয়া অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ২. আহত শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ সুস্থতার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে। ৩. শাটল ট্রেনে সবার সিট নিশ্চিত করতে হবে এবং ফিটনেসবিহীন বগি ও ইঞ্জিন সংস্কার করতে হবে। ৪. চবি মেডিক্যালে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও পর্যাপ্ত ঔষধের ব্যবস্থা করতে হবে।
মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের পাশাপাশি গণস্বাক্ষর কর্মসূচি করা হয়।
মানববন্ধনে ইংরেজি বিভাগের (২০২০-২১) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাঈনুল হিমেল বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিল, কিছু ষড়যন্ত্রকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি করেছে, গুজব ছড়িয়ে দিয়েছে। ভাঙচুর সাধারণ শিক্ষার্থীরা করেনি। ষড়যন্ত্রকারীরা ভাঙচুর করেছে, দায় দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া সমাজতত্ত্ব বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, কারা এসব ভাঙচুর চালিয়েছে আগে তাদের খুঁজে বের করা হোক। ঘটনার দিন বিকেলের ট্রেনে দুর্ঘটনায় একজন আহত হয়েছিল, সেটি জানার পরো কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি?
‘আমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আমাদের শিক্ষকরা আছেন। আমাদের অভিভাবক কোথায়? যদি তারাই আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন, এটা অবশ্যই প্রত্যাহার করা উচিত।‘
এর আগে গত বৃহস্পতিবার শাটল ট্রেনের ছাঁদে করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে ফেরার সময় ঝুলে থাকা গাছের ডালপালার ধাক্কায় অন্তত ১৬ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। কয়েকজন ছাদ থেকে ছিটকে পড়ে গেছে বলেও জানা গেছে।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন, নিরাপত্তা দপ্তর, শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দের বাসসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় শনিবার দুটি মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি মামলায় সাতজন করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও এক হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
এমআই