নিজস্ব প্রতিবেদক: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ যাদের দায়িত্ব তারা ব্যর্থ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে ডেঙ্গু চিকিৎসায় কোনো ধরনের অবহেলা বা গাফিলতি নেই।ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা কমাতে হবে। মশা কমানো যাদের দায়িত্ব তাদের এটা ভালো করে পালন করা প্রয়োজন। নাহলে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমবে না। আমাদের কাজ হাসপাতালে সেবা দেওয়া সেটা আমরা ভালোভাবে দিয়ে যাচ্ছি। কোনো রোগীকেই ফিরিয়ে দেই না।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ন্যাশনাল নিউট্রিশন সার্ভিসেস (এনএনএস) ও ইউনিসেফের মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে যৌথভাবে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মশা নিধন করা বা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসবে। মশা কমেনি বরং বেড়েছে, ডাবল বেড়েছে। যেখানে যেখানে ডেঙ্গু মশা বাড়ছে সেখানে ঠিক করতে হবে। যার যেখানে দায়িত্ব সেখানে ভালো করে পালন করতে হবে। যেখানে যেখানে মশা বেশি সেখানে স্প্রে করতে হবে, সচেতন করতে হবে।
মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু ঊর্ধ্বমুখী। সেপ্টেম্বর মাসেও কমেনি এই রোগের প্রকোপ। চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনেই ১৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছে ২৭ হাজার ৪৬৪ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ২০৭ জন ঢাকায় এবং ৫ হাজার ৬০৯ জন দেশের বিভিন্ন এলাকার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ডাক্তার ও নার্সদের। অভিযোগ রয়েছে, বাড়তি টাকা খরচ করেও ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা স্যালাইন মিলছে না।
মন্ত্রী বলেন, স্যালাইনের ঘাটতি হয়েছে আমরা শুনেছি। সেখানে স্যালাইন দিয়েছি। আমরা মূল জায়গায় কাজ না করে রোগী বাড়াব আর বলব চিকিৎসাসেবা দিতে পারছি না। সরকারি হাসপাতালের অভাব নেই, বেডেরও অভাব নেই। আমরা আমাদের কাজটি করছি, বাকিরাও ঠিকঠাক তাদের কাজটি করুক। সারা বছর ধরেই মশা কমানোর কাজটি করতে হবে। এডিস মশা, ডেঙ্গু রোধে সারা বছর কাজ করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ডা. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।
এসজে/আরইউ